আজ ১০ এপ্রিল সকালে বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২১ গ্রহণ করেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। পুরস্কার হিসেবে ড. আতিউর রহমানের হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা পত্র ও এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। ক্রেস্ট, সম্মাননা ও চেক তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
এ উপলক্ষে আজ বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সচিব এ.এইচ.এম লোকমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) নুরুন্নাহার খানম।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণ শেষে ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘ রবীন্দ্রনাথ আমাদের জাতিসত্তা ও অস্তিত্বের প্রতীক। বাঙালির বিশ্বাব্যাপী যে স্বাতন্ত্র্য ও আভিজাত্য রয়েছে এর বড় অবদান কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। বাঙালির নান্দনিক চর্চাকেও যিনি এগিয়ে নিয়ে গেছেন। রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে অণুপ্রাণিত হয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ শুধু লেখক নন, বড় মাপের একজন অর্থনীতিবিদও। কেননা তিনি কৃষি ও কৃষকের উন্নতির কথা অনবরত বলেছেন। সমাজের বঞ্চিতজনদের এগিয়ে নেওয়া ও আত্মশক্তির সন্ধান করেছেন। তাঁর আর্থসামাজিক ভাবনাকে তাই আরও তুলে ধরতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন বলেন, ‘ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি জাতীয়তা ও বাংলা ভাষাকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নানাভাবে স্মরণ করেছেন রবীন্দ্রনাথকে। তা ছাড়া তিনি বলেন যে, রবীন্দ্রগবেষক ড. আতিউর রহমানের লেখালেখি তাঁকেও রবীন্দ্রনাথ-কেন্দ্রীক সাহিত্য রচনায় উৎসাহিত করেছে। স্বাগত বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘ রবীন্দ্র চর্চাকে আরও উৎসাহিত করতে আতিউর রহমানের মতো গুনীজনদের আরও সম্মাননা জানানো প্রয়োজন।’ ড. আতিউর রহমান তাঁর এই পুরস্কার দেশের সংস্কৃতি চর্চার অগ্রপথিক ওয়াহিদুল হক, রবীন্দ্রসঙ্গীত বিশেষজ্ঞ সনজীদা খাতুন এবং স্ত্রী ও কন্যাদের প্রতি উৎসর্গ করেন।
উল্লেখ্য যে ড. আতিউর রহমানের রবীন্দ্র বিষয়ক বহুমাত্রিক লেখা দেশে বিদেশে বিপুলভাবে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন