শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

টিকা নিতে গিয়ে মারধরের শিকার জাবি শিক্ষার্থী, মহাসড়ক অবরোধ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২২, ১১:৩৯ এএম

করোনাভাইরাসের টিকা নিতে গিয়ে ঢাকার সাভারের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেন্দ্রে মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই শিক্ষার্থী।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের একটি পাশ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

অবরোধের ফলে মহাসড়কে দেশের বিভিন্ন জেলাগামী ও আন্তজেলা রুটে চলাচলকারী বাসের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। এ সময় মহাসড়কে দুই কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে যান। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানান, রবিবার দুপুর একটার দিকে সাভারের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে টিকা নিতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থী। তারা হলেন দর্শন বিভাগের মো. ইমন এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের মো. মাজেদ। লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় দুপুর একটার পর আর টিকা দেওয়া হবে না বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। টিকা প্রত্যাশীদের অনেকেই লাইনে দাঁড়ানো থাকায় তারা লাইন শেষ হওয়া পর্যন্ত টিকা দেওয়ার অনুরোধ জানান। টিকাদানকারী স্বাস্থ্যকর্মীরা এতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, একপর্যায়ে চারজন স্বাস্থ্যকর্মী মিলে ইমন ও মাজেদকে মারধর শুরু করেন। পরে তাদের সাভার মডেল থানায় নিয়ে যায় স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিষয়টি সেখানে মীমাংসা হয়নি। ইমন ও মাজেদ অসুস্থ অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন।

ইমন ও মাজেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ৪৪তম ব্যাচের ছাত্র। এ দিকে সড়ক অবরোধেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ছাত্ররা অংশ নেন।

জানতে চাইলে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ওই দুই শিক্ষার্থী জোর করে টিকা নিতে গেলে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের থানায় নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি নিয়ে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান জানান, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনেছি। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
sha ১১ এপ্রিল, ২০২২, ১:১৯ পিএম says : 0
নির্বোধরা বিশ্বাস করে অমানুষ পিচাশরা মানুষের কল্যাণে কাজ করে! বাস্তবে অমানুষ পিচাশ ও পিচাশি সরকার জনকল্যাণের যে অসংখ্য ধরনের ভন্ডামিপূর্ণ নাটক করে, বাস্তবে এরা সর্বদিক থেকে মানুষের সর্বোচ্চ ক্ষতি করে। অথচ নির্বোধরা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ বেখেয়াল !...
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন