উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ায় প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে ‘ব্যর্থ স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১০ এপ্রিল) কাইস সাইদের বিরুদ্ধে রাস্তা নেমে আসেন হাজার হাজার তিউনিসীয়।
বিক্ষোভ দমনে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করেছে সাইদ প্রশাসন। ‘জনগণ স্বৈরাচারকে উৎখাত করতে চায়’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয় তিউনিসিয়ার রাজপথ। খবর রয়টার্স।
বিক্ষোভের সমর্থক সংসদের ডেপুটি স্পিকারের সামিরা চাউচি বলেন, ‘‘আমরা অভ্যুত্থান প্রতিহত করতে থাকব এবং আমরা পিছপা হব না। আমরা এই স্বৈরাচার মেনে নেব না।’’
বিক্ষোভকারী চাইমা ইসা বলেন ‘‘আমরা একটি ব্যর্থ স্বৈরশাসনের মুখোমুখি হচ্ছি যা দেশকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে.. যতক্ষণ প্রেসিডেন্ট তার সিদ্ধান্তগুলো ফিরিয়ে নিতে বাধ্য না হয় ততক্ষণ আমরা রাস্তায় প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।’’
গত মাসে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর দেশটিতে একনায়কতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেন প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ। এর পর তিউনিসিয়ার সংসদের অর্ধেকেরও বেশি সদস্য সাইদের ডিক্রি প্রত্যাহার করার জন্য একটি অনলাইন অধিবেশন করলে দেখা দেয় রাজনৈতিক শঙ্কট।
অনলাইন অধিবেশনের পর বিরোধীদলীয় নেতা রাশেদ ঘান্নুচি এবং অন্যান্য আইন প্রণেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন ডেকে নেয় সাইদ সমর্থিত পুলিশ প্রধান। এ ঘটনায় দেশে বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তিউনিসিয়ার নির্বাহী ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয় কাইস সাইদ। ডিক্রি জারি করে ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টিকে অভ্যুত্থান হিসাবে বর্ণনা করছেন বিরোধীরা।
আর বিরোধীদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সাইদ বলছেন, ‘‘তিনি রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করবেন, তবে ‘বিশ্বাসঘাতক এবং চোর’ এতে অংশ নেবেন না।’’ তিনি সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য একটি কমিটি গঠন, জুলাইয়ে একটি গণভোট এবং ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন করবেন বলে দাবি করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন