ফেসবুক থেকে ‘উসকানিমূলক’ ও ‘ক্ষতিকর’ কনটেন্ট সরাতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে নাÑ এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রুল জারির পাশাপাশি ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ক্ষতিকর কন্টেন্ট সরাতে বিবাদীদের নিষ্ক্রীয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ফেসবুক থেকে ক্ষতিকর কন্টেন্ট অপসারণের যে ক্ষমতা দেয়া আছে, সেটি প্রয়োগ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে। পরবর্তী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার খোন্দকার রেজা-ই রাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২০ ডিসেম্বর ফেসবুকে থাকা ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাতে ৪ জনের পক্ষে এ রিট করেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল। রিটকারী চারজন হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক এস এম মাসুম বিল্লাহ, আইনজীবী জর্জ চৌধুরী, ঢাকার বাসিন্দা সেলিম সামাদ ও ভিক্টর রায়। ওই বছর ১৮ নভেম্বর চার ব্যক্তির পক্ষে রেজিস্ট্রি ও ই-মেইলে আইনি নোটিশ পাঠান আইনজীবী তাপস কান্তি বল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাতে এর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ‘মেটা’র প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে বিবাদী করা হয় লিগ্যাল নোটিশে। জাকারবার্গ ছাড়াও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালকে বিবাদী করা হয় রিটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন