শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন ইমরান খান। সোমবার বিকেলে পাকিস্তানের সদ্য-প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বক্তৃতায় বলেন, ‘যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১,৬০০ কোটি এবং ৮০০ কোটি রপির (পাকিস্তানি) দুর্নীতির মামলা ঝুলছে, তাকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হল। দেশের কাছে এর চেয়ে বড় অপমান হতে পারে না।’
ইমরান বক্তৃতায় জানিয়েছেন, পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তিনি চোরেদের (নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ এবং তার সহযোগীরা) সঙ্গে বসতে পারবেন না। তাই সদস্য পদ ছাড়ছেন। ইমরানকে অনুসরণ করে তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তান (পিটিআই)-এর অন্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সদস্যেরাও পদত্যাগ করেন। পিটিআই-এর টুইটারেও ইমরানের ইস্তফাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি দেশের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর নেতা শাহবাজকে বেছে নেয়। ৩৪২ আসনের পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে শাহবাজের পক্ষে পড়ে ১৭৪টি ভোট। তবে পিটিআই সদস্যেরা ভোটাভুটিতে অংশ না নিয়ে সভা থেকে ওয়াকআউট করেন।
৭০ বছরের শাহবাজ তিন বার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। বড় ভাই নওয়াজ দেশ ছাড়ার পরে পাকিস্তান মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্টের আসনে বসেন তিনি। তখন থেকেই ভাইঝি মরিয়াম শরিফকে নিয়ে দল সামলাচ্ছিলেন। ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট তিনি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য হন। নির্বাচিত হন বিরোধী দলনেতা পদে।
মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন শাহবাজের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একাধিক বিবাহ এবং লন্ডন ও দুবাইয়ে তার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের মালিকানার জন্যও তিনি সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এসেছেন। ২০১৭-য় পানামা কেলেঙ্কারির মামলায় তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে পিএমএল(এন)-এর অন্দরে শাহবাজকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু ভাইয়ের বদলে নিজের বিশ্বস্ত সহযোগী শাহিদ খকন আব্বাসিকে বেছে নিয়েছিলেন নওয়াজ। সূত্র: এবিপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন