শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

পাকিস্তানের ওপর ‘আমদানি করা সরকার’ চাপিয়ে দেয়া হলো

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৩ এএম

অবশেষে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৩৪২। ১৭২ হল সংখ্যাগরিষ্ঠ্যতার সংখ্যা। অনেক হর্স ট্রেডিংয়ের পর মাত্র ১৭৪ ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়। অর্থাৎ মাত্র ২ ভোট বেশি ম্যানেজ করায় প্রতিপক্ষ চক্র সফল হয় এবং ইমরান সরকারের পতন ঘটে। ইতোপূর্বে ইমরান বলেছিলেন, ইংরেজদের ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর এবং মীর সাদিকের সহায়তায় বৃটিশরা বাংলার স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছিল। তেমনি মার্কিনীদের ষড়যন্ত্রে শাহ্বাজ শরীফ এবং বিলওয়াল ভুট্টো জারদারীর সহায়তায় ১০ এপ্রিল, ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ক্রয় করলো। এসব নিয়েই আজ লিখবো। তার আগে দুটি বিষয় সংক্ষেপে টাচ না করলেই নয়।

দুই
অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা যে সংরক্ষিত আসন থেকে সিলেক্টেড জাতীয় সংসদ সদস্য, সে কথা অনেকেরই জানা ছিল না। কারণ, বিগত সাড়ে তিন বছরে তিনি সংসদে বিভিন্ন জাতীয় সমস্যা নিয়ে কোনো কথা বলেছেন বলে পত্রপত্রিকায় দেখা যায়নি। সেই সদস্যকে দেখা গেল, কয়েক দিন আগে জাতীয় সংসদে মহিলাদের টিপ পরা নিয়ে কথা বলেছেন। এমন নয় যে, টিপ পরা কোনো জাতীয় ইস্যু হয়েছিল। এমন নয় যে, এটা নিয়ে তার আগে অন্য কোনো সংসদ সদস্য সংসদে বিরূপ মন্তব্য সম্বলিত বক্তৃতা করেছেন। এমন নয় যে কোনো রাজনৈতিক দল টিপ পরার বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দিয়েছে। এমনও নয় যে, টিপ পরার বিরুদ্ধে কোনো রেডিও, টেলিভিশন বা পত্রপত্রিকায় কোনো বিরূপ মন্তব্য লেখা হয়েছে। তাহলে ঐ মহিলা সংসদ সদস্য হঠাৎ টিপ পরা নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠলেন কেন? সংসদে তার বক্তৃতার পর এক শ্রেণির পত্রপত্রিকা এটাকে একটি ইস্যু বানানোর জন্য পাগল পারা হয়ে গেছে। তাহলে হঠাৎ এই টিপ পরা ইস্যু এল কেন?

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ঢাকার কোনো এক কলেজের এক মহিলা অধ্যাপিকা রিকশা করে যাচ্ছিলেন। তার কপালে ছিল টিপ। এমন সময় ঐ দিক দিয়ে মোটর সাইকেলে এক পুলিশ কনস্টেবল যাচ্ছিলেন। তিনি নাকি মোটর সাইকেল থামিয়ে টিপ পরার জন্য মহিলাকে গালাগালি করেন। এ পর্যন্তই ঘটনা। তো সেই ঘটনাকে কি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করতে হবে? সুবর্ণা মোস্তফা তো একজন এমপি। টিপ পরায় গালাগালি করে পুলিশ কনস্টেবল অন্যায় করেছেন। এজন্য সুবর্ণা মোস্তফা ওসির কাছে অভিযোগ করতে পারতেন। প্রয়োজনে এসপি বা ডিসির কাছেও নালিশ করতে পারতেন। এই এমপি সরকারদলীয়। তিনি চাইলে বিষয়টি আইজিপির সাথেও টেকআপ করতে পারতেন। কনস্টবলটির শাস্তি হতে পারে। এই অপরাধের জন্য তাকে তো আর শূলে চড়ানো যাবে না। সর্বোচ্চ চাকরি হতে পারে বরখাস্ত। এর জন্য সাংবিধানিক প্রশ্ন তুলতে হবে কেন? মশা মারতে কামান দাগা?

তিন
কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সাথে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনী বিøংকেনের টেলিফোনে কথা হচ্ছিল। ঐ টেলিফোনেই মি. বিøংকেন জনাব মোমেনকে আমেরিকা সফরে দাওয়াত করেন। তদনুযায়ী চলতি মাসের প্রথম দিকে আব্দুল মোমেন আমেরিকা সফরে যান এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। এই বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় যা এসেছে, তাতে জনাব মোমেন মি. বিøংকেনকে কী বলেছেন সেটিই প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু মি. বিøংকেন মোমেনকে কী বলেছেন সেটি মাত্র ৩/৪ লাইনের একটি বাক্যে এসেছে। আর সেখানেও রয়েছে স্বভাবসুলভ ক‚টনৈতিক মিষ্টি কথা।


বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার মার্কিন প্রতিপক্ষকে যা বলেছেন, তার মধ্যে তিনটি বিষয় উল্লেখের দাবিদার। প্রথমটি হলো, র‌্যাবের ওপর থেকে মার্কিন স্যাংশন সহসা প্রত্যাহৃত হচ্ছে না। এটা করতে সময় লাগবে। কারণ, এটি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যেতে হবে। স্যাংশন জারি হয়েছে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। উঠাতে হলেও যেতে হবে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। দ্বিতীয়ত তিনি যখন রাষ্ট্রহীন (স্টেটলেস) ও গৃহহীন ছিলেন তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে আশ্রয় দিয়েছিল এবং একটি বাড়ি দিয়েছিল। এই কারণে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিকট কৃতজ্ঞ। বিষয়টি জনাব মোমেনের একান্ত ব্যক্তিগত। তিনি সেকারণে আমেরিকার নিকট কৃতজ্ঞ থাকতেই পারেন। তবে বাংলাদেশের মানুষদের কাছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের এই অধ্যায়টি জানা ছিল না।

মি. বিøংকেনের কাছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে একটি বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন, সেটা নিয়ে শুধুমাত্র আলোড়নই সৃষ্টি হয় নাই, অনেক সমালোচনাও হয়েছে। আর সেটি হলো, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি বিশেষ অনুরোধ। রাজনীতির পরিভাষায়, এটাকে ধরনাও বলা যেতে পারে। বাংলাদেশে আগামী বছর যে সাধারণ নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রধান দলসমূহ অংশগ্রহণ করবে না বলে ঘোষাণা দিয়েছে। বিএনপি যাতে নির্বাচনে আসে সেজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন বিএনপির ওপর প্রভাব বিস্তার করে, সেজন্য জনাব মোমেন তাঁর প্রতিপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ধরনা জনাব মোমেন অথবা তার সরকারের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করে। বাংলাদেশের ইলেকশনে কোনো দল যদি নির্বাচন বয়কট করে তাহলে সেই দল অথবা গোষ্ঠিকে নির্বাচনে আনা বা না আনাটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ ব্যাপারে যা কিছু করার সেটা করবে নির্বাচন কমিশন বা সরকার। অথবা রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহা করতে পারে। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিøংকেনকে এ ব্যাপারে অনুরোধ করা আমেরিকা তথা একটি বিদেশি রাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার জন্য দাওয়াত দেওয়ার শামিল। ব্যাপারটি যে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক এবং অসম্মানজনক, সেটা মনে হয় সরকার অথবা আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে। তাই ঐ বক্তব্যের এক বা দুইদিন পর তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঐ বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। এই বক্তব্যের সাথে সরকার অথবা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নাই।

চার
এখন ফিরে আসছি পাকিস্তানের ঘটনায়। ইমরান মন্ত্রিসভার পতন ঘটেছে। ১১ এপ্রিল সোমবার বেলা ১২টায় যখন এই লেখা শেষ করছি তখন পর্যন্ত নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয় নাই। মঙ্গলবার যখন এই লেখাটি প্রকাশিত হবে তখন হয়তো নওয়াজ শরীফের ছোট ভাই শাহ্বাজ শরীফ হবেন প্রধানমন্ত্রী, মরহুম জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতি বিলওয়াল ভুট্টো পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রেসিডেন্ট মওলভী ফজলুর রহমান দেশটির প্রেসিডেন্ট। ইতোমধ্যেই পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার কায়সার, ডেপুটি স্পিকার সূরী এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পদত্যাগ করেছেন।

এইমাত্র পাকিস্তানের ইংরেজি ‘দৈনিক ডন’ এবং ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের’ খবরে জানা গেল যে, ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সমস্ত পার্লামেন্টারিয়ান (সংসদ সদস্য) আগামী সোমবার একযোগে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেহেতু রবিবার লেখা শুরু করেছি এবং সোমবার ভোরে শেষ করছি তাই শেষ খবর জানতে পারলাম না এবং লিখতে পারলাম না। তবে ইমরানের সংসদ সদস্যরা যদি শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন, তাহলে পাকিস্তানে শুরু হবে গুরুতর রাজনৈতিক সংকট। শাহ্বাজ শরীফ এবং তার পুত্র হামজা শরীফের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৪ শত কোটি রুপিয়ার দুর্নীতির মামলা ঝুলছে। তিনি কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন?

পাঁচ
এখন সুপ্রিমকোর্টের রায় সম্পর্কে দুইটি সাংবিধানিক প্রশ্ন। পার্লামেন্টারি গণতন্ত্রে প্রেসিডেন্ট অলংকারিক প্রধান হলেও তিনিই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে তিনিই নিয়োগ দেন। তিনি হলেন, রাষ্ট্রের প্রতীক। কবে পর্লামেন্টের অধিবেশন ডাকতে হবে সে ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি কী প্রেসিডেন্টকে ‘নির্দেশ’ দিতে পারেন? এই নির্দেশের মাধ্যমে কে কার সর্বোডিনেট হলো? এরপর কি প্রেসিডেন্টের চেয়ারের আর কোনো মূল্য আছে? দ্বিতীয়ত শনিবার ৯ এপ্রিল সকাল ১০:৩০ মিনিটের মধ্যে ভোটাভুটি সম্পন্ন করতে হবে। সাড়ে ১০টার পরে নয়। এমন নির্দেশ কি প্রধান বিচারপতি প্রেসিডেন্ট বা স্পিকারকে দিতে পারেন? এটা তো স্পিকারের এখতিয়ার। এই নির্দেশের মাধ্যমে কি তিনি স্পিকারের ক্ষমতা ও এখতিয়ার নিজের হাতে নিচ্ছেন না?

এই রায়ের মাধ্যমে পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি একটি মৌলিক প্রশ্ন সামনে এনেছেন। সংসদীয় গণতন্ত্রে কে বড়? সুপ্রিমকোর্ট? নাকি পার্লামেন্ট? আসলে এখানে বড়-ছোটর প্রশ্ন নাই। প্রত্যেকের কাজ এবং ক্ষমতার আলাদা আলাদা ক্ষেত্র আছে। যার যার ক্ষেত্র, তার তার ক্ষেত্রে সে স্বাধীন ও সার্বভৌম। কেউ কারো ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৮ অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদের দায় মুক্তির বিধান রয়েছে। জাতীয় সংসদে যা কিছুই করা হোক না কেন, সে সম্পর্কে আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। অনুরূপভাবে বাংলাদেশের সংবিধানের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট তার মেয়াদকালে যে সমস্ত কাজ করবেন সেসব কাজ নিয়ে আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

কিন্তু পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এসব প্রশ্ন বিবেচনাতেই আনলেন না। প্রধান বিচারপতি কি শুধুমাত্র বিচারই করবেন? একটি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে তাঁর কি কোনো দায়-দায়িত্ব নাই? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইমরান খান যে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, সেটি আমলেই আনেননি সুপ্রিমকোর্ট। অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন, অর্থাৎ ইমরান খানকে উৎখাত করার জন্য আমেরিকা অঢেল টাকা ঢেলেছে, সিন্ধু ভবনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা বিলি বণ্টন হয়েছে, এসব প্রশ্নকে পাত্তাই দেননি প্রধান বিচারপতি আতা বান্দিয়াল। শুধুমাত্র ইমরান খান এবং তার মন্ত্রীরা নয়, রাশিয়া পর্যন্ত অভিযোগ করলো যে, আমেরিকার অবাধ্য(?) হওয়ায় কতিপয় মার্কিন দালালের মাধ্যমে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে আমেরিকা ইমরানকে শাস্তি দিচ্ছে। পৃথিবীর দ্বিতীয় পরাশক্তি রাশিয়ার অভিযোগও আমলে নেওয়া হলো না। এখন পাকিস্তানে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য যদি একদিকে আমেরিকা এবং অন্যদিকে চীন-রাশিয়ার মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয় তাহলে পাকিস্তানের অবস্থা কী দাঁড়াবে? এটা শুরু হলে তার জন্য দায়ী কে হবে?

ইমরান খান তো কোনো রাখঢাক করেননি। যে মার্কিন উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াশিংটনস্থ পাক রাষ্ট্রদূতকে তার অফিসে তলব করে ধমক দিয়েছেন, তাঁর নামও বলে দিয়েছেন ইমরান খান। তিনি হলেন, ডোনাল্ড লু। হুমকি দেয়া যে পত্রটি পাক রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন, সেই চিঠি নিয়ে তিনি ফেডারেল ক্যাবিনেট, স্পিকার, সেনাপ্রধান ও আইএসআই প্রধানের সাথে আলোচনা করেছেন। নিরাপত্তা সম্পর্কে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সংস্থা হলো ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল (এনএসসি) বা জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাথে ঐ থ্রেট লেটার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেউ কিছু বলেনি। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, পাকিস্তানের সামনে আসছে ঝড় দিন। আগামীতে এসম্পর্কে আরো লিখবো ইনশাআল্লাহ।
journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Abu Mosa ১২ এপ্রিল, ২০২২, ৬:০৩ পিএম says : 0
পা‌কিস্তান পঁ‌চে গে‌ছে। যে জা‌তির ই‌তিহা‌সে কো‌নো প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ পুর্ন কর‌তে পা‌রে নাই, তারা আস‌লেই অথর্ব জা‌তি ।ইমরান খান নায়ক হ‌য়েই ই‌তিহা‌সের পাতায় স্থান ক‌রে নি‌বেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন