১৯ বছর বয়সের কানাডিয়ান তরুণীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা, থাকা-খাওয়ার খরচ বহনসহ সব ধরনের নিরাপত্তা দেবে দেশটির সরকার।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানানো হয়।
আদালতকে লিখিতভাবে কানাডা হাইকমিশনের পক্ষে এ তথ্য জানিয়েছেন রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এর আগে আদালতের খাস কামরায় ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি দ্বয়।
এদিন সকালে আদালতের আদেশে ১৯ বছর বয়সী কানাডিয়ান তরুণী তার বাবার সঙ্গে আদালতে হাজির হন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) তাকে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তরুণীর বাবার প্রতি এ আদেশ দেওয়া হয়।
আইন ও শলিস কেন্দ্র এবং ব্লাষ্টের করা এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
কানাডিয়ান তরুণীর পাসপোর্টসহ কানাডিয়ান হাইকমিশনে ও তরুণীকে উপস্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি করে এ আদেশ দেন আদালত। এ আবেদনের শুনানি আজ বুধবার পর্যন্ত মূলতবি করা হয়।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল (রোববার) খাস কামরায় নিয়ে তরুণীর কথা শোনেন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার সারা হোসেন। অপরদিকে কানাডিয়ান তরুণীর বাবা মায়ের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসভাপতি মো. ওয়াজি উল্যাহ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া কানাডিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল বাবা-মাসহ ওই তরুণীকে আদালতে হাজির করতে বলা হয়। পাশাপাশি ওই তরুণীর অসম্মতিতে তাকে ১০ মাস ধরে আটক রাখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন