নওগাঁর পোরশা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করায় বাংলাদেশী যুবক আরিফ হোসেনকে আটক করেছে বিএসএফ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলা নিতপুর সীমান্তের ভারতের হরিশ্চন্দ্রপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করেন। একই দিনে দুপূরে সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটককৃত কৃষক মামুন ইসলামকে ফেরত দিয়েছে।
আরিফ হোসেন একই উপজেলার গাঙ্গুরিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে আরিফ বাংলাদেশী পোরশা উপজেলার নীতপুর সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে যান। সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে একপর্যায় নীতপুর সীমান্ত ২৩০ নং পিলার পার হয়ে ভারতে অবৈধ্যভাবে প্রবেশ করেন আরিফ। এরপর মালদা জেলার বিএসএফ-১৫৯ হরিশ্চন্দ্রপুর ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করেন। পরে আরিফকে হরিশ্চন্দ্রপুর ক্যাম্পে নিয়ে যান।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আরিফ মাদক সেবনকারি পরিচিত। ভারতে গাঁজা আনতে গিয়েই তিনি আটক হয়েছেন।
বিজিবি-১৬ ব্যাটলিয়ন আওতায় নীতপুর (পোরশা) ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নূরুল ইসলাম জানান, নীতপুর সীমান্ত এলাকা থেকে আরিফ হোসেনের বাড়ির দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। কি কারণে ভারতে অভ্যন্তরে তিনি গিয়েছিলেন তার সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত তাদের পরিবার কেউ যোগাযোগ করেননি।
বিজিবি-১৬’র (নওগাঁ) অধিনায়ক লে: কর্ণেল রেজাউল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকের পর পরই ভারতে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মামুনকে ফেরৎ নেওয়ার জন্যে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফ’র সাথে যোগাযাগ করা হয়েছে। এলাকার একাধিক লোকজন জানিয়েছেন তিনি মাদক (গাঁজা) সেবী হিসেবে পরিচিত। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে ফেরত পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার বিরুদ্ধে কি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে একই দিন মঙ্গলবার সকালে পোরশা উপজেলার শ্রীকৃষ্ণপুর কুলাডাংগা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মামুন ইসলাম পোরশা সীমান্তের ঢাকাবীল এলাকায় ২৩১/৭এস পিলারের তার নিজ জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে যান। বেলা ১১টার সময়ও জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করছিলেন। এমতাবস্তায় ভারতীয় বিএসএফ-১৫৯ কেদারীপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ’র টহলরত সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় দেখতে পেয়ে মামুনকে তাকে আটক করে নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেয়ে বিজিবি মামুনকে ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠালে পতাকা বৈঠকের আহবান জানান। পতাকা বৈঠকের আহবায়নের পর সীমান্তের ২৩১/৭এস পিলারের এলাকায় দুপূর ২টার দিকে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি-১৬ নওগাঁ’র অধিনায়ক লে: কর্ণেল রেজাউল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকের পর পরই মামুনকে ফেরৎ চেয়ে আমরা পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর বিএসএফ বৈঠকের সম্মতি দিলে দুপূর ২টার দিকে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং মামুনকে ছেড়ে দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন