অভিনেত্রী, আইনজীবী, সাবেক সংসদ সদস্য তারানা হালিমকে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বশীল নানান পদে অনেক কঠিন দায়িত্বের সহজ সমাধান করতে হয়। যদিও তার শৈশব ছিল অন্য আর দশজনের মতই সহজ-সরল। সম্প্রতি মাছরাঙা টেলিভিশনের ঈদের বিশেষ ‘রাঙা সকাল’-এ অতিথির আসনে বসে তারানা হালিম হারিয়ে যান তার বর্ণাঢ্যময় জীবনের নানান গল্পে। শৈশবের স্মৃতি হাতড়ে তিনি বলেন, ছোটবেলায় আশেপাশের অনেকেই আমার গায়ের রং নিয়ে কটু কথা বলতো। যেহেতু শিশু মন, মানুষের কথায় প্রভাবিত হয়েছিলাম। মন খারাপ করে ভাবতাম, কেন উজ্জ্বল শ্যামলা হলাম? কেন দুধে-আলতা ফর্সা হলাম না। অবশ্য শুধু বাইরের মানুষের দোষ দিয়ে কি হবে, আমার একমাত্র ভাইও আমার দুর্বল জায়গা নিয়ে মজা করে ক্ষেপাতো। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে একদিন কাঁদতে কাঁদতে বাথরুমে গিয়ে পুরো একটা সাবান গিলে ফেলেছিলাম। ভেবেছিলাম, সাবান খেয়ে যদি গায়ের ধুলো ময়লা চলে যায়, তাহলে নিশ্চয়ই সাবান খেলে ফর্সাও হওয়া যাবে। বড় হয়ে এই ঘটনার কথা যতবার ভেবেছি, হেসেছি। সেই সাথে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিয়েছি, আমাকে যেভাবে তিনি তৈরি করেছেন, তার জন্য। সব মানুষই সুন্দর। অসৎ কর্মই কিছু মানুষকে ক্ষেত্র বিশেষে অসুন্দর করে তোলে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিশুদের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান নতুন কুঁড়ির প্রথম চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তারানা হালিম। কেজি টুতে পড়ার সময়, ৫ বছর বয়সে প্রয়াত আব্দুল্লাহ আল মামুনের হাত ধরে প্রথম অভিনয় করেন ঘুঘু শিকারী নাটকে। তারানা হালিমের জীবনে ৯ সংখ্যাটির একটি মজার সংযোগ রয়েছে। ১৯৮২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে তিনি ৯ম হয়েছিলেন, ১৯৮৪ সালে এইচএসসিতেও ৯ম, পরবর্তীতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এলএলএম পরীক্ষাতেও ৯ম হয়েছিলেন। ৯ম সংসদ অধিবেশনে প্রথমবার সংসদ হয়েছিলেন, সেটিও ২০০৯ সালে। রুম্মান রশীদ খান ও খালেদার উপস্থাপনায় রাঙা সকাল-এ তারানা হালিম তার জীবনের না বলা অনেক কথাই ব্যক্ত করেছেন। জোবায়ের ইকবাল-এর প্রযোজনায় বিশেষ এই পর্বটি প্রচার হবে ঈদের ৩য় দিন, সকাল ৭টা থেকে ৯টা, মাছরাঙা টেলিভিশনে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন