বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চ্যানেল আইয়ের এমডি ‘নব্য রাজাকার’ মাহফুজুর রহমান

প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরকে নব্য রাজাকার বলে অভিহিত করেছেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান। গতকাল রোববার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে মিডিয়া ইউনিটি আয়োজিত ‘অনুমতিবিহীন বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও টেলিভিশন শিল্প অনিবার্য পরিণতি’ শীর্ষক এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মাহফুজুর রহমান বলেন, কমিশনের মাধ্যমে একটি জালিয়াত চক্র বিদেশী চ্যানেলে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। যে ব্যক্তি এই কাজ করছে তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ট সম্পর্ক। এটিএন বাংলা চালু করার ৭ দিনের মধ্যে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সেই ব্যক্তি সাগর ভাই।
তিনি ফরিদুর রেজা সাগরকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি মানি লন্ডারিং বন্ধ করুন। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বুকে লাথি মারবেন না। এতোগুলো মানুষের পেটে লাথি মারবেন না। একা না খেয়ে সবাইকে খেতে দেন। আপনি আজকে দেশের নব্য রাজাকার। তিনি আরো বলেন, আমরা ২৬টি টেলিভিশন চ্যানেল একসঙ্গে আছি। এই ২৬টি চ্যানেল ছেড়ে যেসব শিল্পী একটি চ্যানেলের সঙ্গে থাকবে, আমরা তাদেরকে ব্যান্ড করে দিবো।
এ সময় অভিনেতা শহিদুল ইসলাম সাচ্চু প্রশ্ন তুলে বলেন, আমরা অভিনয়শিল্পীরা যখন কোনো সমস্যায় পড়েছি সাগর ভাইকে কাছে পেয়েছি। ব্যক্তিগত অথবা যেভাবেই হোক তিনি আমাদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আজকের অনুষ্ঠানে তাকে কি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল? এর উত্তরে একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী এবং মিডিয়া ইউনিটির আহ্বায়ক মোজাম্মেল বাবু বলেন, আমি আজ কোনো কড়া কথা বলতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু প্রশ্ন যখন উঠেছে, জবাব তো দিতেই হবে। আমি এটাকে বলব ‘গরু মেরে জুতা দান’। দেশের কলাকুশলীদের পেটে লাথি মেরে একজন শিল্পীর ক্যান্সারে এক লাখ টাকা সহায়তা করা গরু মেরে জুতা দান ছাড়া আর কি হতে পারে। এই অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর কোনো কারণ নেই।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মোজাম্মেল বাবু জানান, কিছু বিদেশী চ্যানেল অনুমোদনহীনভাবে বাংলাদেশে ডাউনলিঙ্ক দিয়ে চালানো হচ্ছে। এসব চ্যানেলে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি জালিয়াত চক্র বিদেশী চ্যানেলের নামে দেশ থেকে টাকা পাচার করছে। তিনি বলেন, বিজ্ঞাপনের যে টাকা দেশের বাইরে পাঠানো হচ্ছে তা মানি লন্ডারিং। দেশিয় পণ্য প্রচার ও প্রসার আইনের মাধ্যমে এ টাকা দেশের বাইরে পাঠানো হচ্ছে। ১১-১২ শতাংশ কমিশনের কারণে যারা এ কাজ করছে, তারা এ প্রজন্মের রাজাকার।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি তথ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি কাউকে কনভিন্স করতে পেরেছি বলে মনে হয় না। এ সময় তিনি চারটি দাবি জানান। দাবিগুলো হলোÑ অবৈধ ডাউনলিঙ্ক চ্যানেল বন্ধ করা, দেশীয় বিজ্ঞাপন বিদেশী চ্যানেলে প্রচার বন্ধ করা, বিজ্ঞাপন প্রচারের নামে মানি লন্ডারিং বন্ধ করা এবং সন্ত্রাস দমন।
ডিরেক্টরস গিল্ড’র সদস্য গাজী রাকায়েত বলেন, আমাদের দেশী টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপন নির্ভরতা কমাতে হবে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপন নির্ভরতার কারণে দেশে এক শ্রেণির দালাল সৃষ্টি হয়েছে। অনুষ্ঠানে মিডিয়া ইউনিটির দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সংসদ সদস্য ও আরটিভির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম, জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক হানিফ সংকেত, একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মন্জুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাভিশনের চেয়ারম্যান আবদুল হক, এশিয়ান টিভির মালিক হারুন-উর রশিদ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Md Masud ১৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১০:৪৩ এএম says : 0
খুব মজা পাইলাম।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন