চীনের বাণিজ্য ছড়িয়ে যাবে ব্যাপকভাবে
পাকিস্তানের গোয়েদর আন্তর্জাতিক বন্দর থেকে পণ্য রপ্তানি শুরু
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রস্তাবিত চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে চীন পারস্য উপসাগর ও মধ্যপ্রাচ্যে তার বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বিস্তৃত করতে পারবে। পাকিস্তানের নবনির্মিত গোয়েদর সমুদ্রবন্দর থেকে গতকাল রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে। উদ্বোধনী দিনে তা প্রত্যক্ষ করতে সেখানে যান দেশটির শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক নেতৃবৃন্দ। পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নতুন এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পথটি চালু করা হয়। চীনা একটি জাহাজ এখান থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে রোববার মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় রওনা হয়।
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়ান অঞ্চল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকের প্রথম বহরটি গোয়েদরে পৌঁছে।
প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বলেন, চীনের অর্থায়নে নির্মিত এই আন্তর্জাতিক বন্দর ব্যবহারে পাকিস্তান বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবে। বিদেশী শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী এ বন্দর ও সরবরাহ পথের নিরাপত্তায় বিশেষবাহিনী মোতায়েন করেছে। বন্দরটি সংঘাতপূর্ণ বেলুচিস্তানের কাছে হওয়ায় এ বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি এখানে রাতভর একটি মাজারে বিস্ফোরণে প্রায় অর্ধশত মানুষ নিহত হয়।
আইএস ওই হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে। পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলেন, ওই হামলার উদ্দেশ্য ছিলো চীনা অর্থায়নে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নির্মিত এই প্রকল্পের ক্ষতিসাধনসহ দেশের সর্বত্র একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করা।
চীন, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর প্রকল্পের অধীনে সড়কপথ ও বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ করছে। আশা করা হচ্ছে, এর অধীনে চীন আগামী কয়েক দশকে ৮ হাজার ৬শ’ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে উভয়ের বৈরি সম্পর্কের কারণে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতি ও সামরিক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গোয়েদর বন্দরটি নির্মিত হয়েছে আরব সাগরে। দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চমৎকার একটি কৌশলগত স্থানে এটি নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়াও বন্দরটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান হচ্ছে, এটি পারস্য উপসাগরের মুখে হরমুজ প্রণালীর অদূরে অবস্থিত।
চীন আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরে অবাধ এবং নিরাপদ প্রবেশাধিকার চায়। চীনের জাহাজগুলো এখন ইন্দোনেশিয়ার মালয় উপদ্বীপের মালাক্কা প্রণালী দিয়ে চলাচল করে। প্রস্তাবিত নতুন এ পানিপথ চীনকে পারস্য উপসাগর ও মধ্যপ্রাচ্যে প্রবেশের সুযোগ করে দেবে। এপি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন