বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ধর্ষণের নালিশ করবেন বলায় গার্মেন্টস কর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২২, ১০:২২ এএম

রাজধানীর খিলক্ষেতের ৩০০ ফিট এলাকায় শারমিন আক্তার নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য উন্মোচন করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে সুমন কুমার (১৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ।

গার্মেন্টস কর্মী শারমিনকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের ঘটনা তিনি সবাইকে বলে দেবেন এবং নালিশ করবেন জানালে সুমন কুমার তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। র‌্যাবের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে রোববার ভোররাতে রাজধানীর খিলক্ষেতের কুড়াতলী কাজী বাড়ী মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুমন কুমারকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলায়।

রোববার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক ( মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমেদ।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ৩০০ ফিট রাস্তার পাশে খিলক্ষেত থানা পুলিশ মাটিচাপা দেওয়া গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় এক অজ্ঞাত পরিচয় তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তার পরিচয় মিলে। জানা যায় সেই তরুণীর নাম শারমিন আক্তার (২২)। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায়। শারমিন রাজধানীর কুড়িল এলাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। ‌ এ ঘটনায় শনিবার রাতে শারমিনের পরিবার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ‌‌

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন কুমার জানিয়েছেন, তিনি পেশায় একজন রিকশা চালক। হত্যার শিকার শারমিন খিলক্ষেত এলাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে শারমিনকে গার্মেন্টস এবং বাসায় আসা-যাওয়ার পথে অনুসরণ করতেন। গত ১০ থেকে ১২ দিন আগে শারমিনের সাথে তার প্রথম পরিচয় হয় এবং দুই থেকে চার দিন ধরে তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়। গত ১৩ এপ্রিল তাকে রিকশায় করে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন। শুক্রবার রাতে ঘোরাঘুরির কথা বলে শারমিনকে তার বাসা থেকে খিলক্ষেতের ৩০০ ফিট রাস্তা এলাকায় ডেকে নিয়ে আসেন এবং কৌশলে তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা শারমিনকে তিনি গোপন করতে বললে তাতে অস্বীকৃতি জানান। এ ব্যাপারে নালিশ করবেন বলে জানানোর পর সুমন তাকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ‌পরে লাশ রাস্তার পাশে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যান।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন