ভোর বেলা একদফা বৃষ্টি, এরপর সকাল থেকে রাজধানীর বিভিনড়ব এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কর্মব্যস্ত নগরবাসী অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন ঠিক তখনই বৃষ্টি শুরু হয়। কাজের তাগিদেই লোকজন বেরিয়ে পড়েন অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দিকে। কিন্তু বৃষ্টির কারনে রাজধানীর অনেক এলাকার রাস্তায় সৃষ্টি হয় যানজট। অফিস থেকে বিকেলে বাড়ি ফেরার সময়ও নগরবাসীকে পড়তে হয় তীব্র যানজটে।
বৃষ্টি ভেজা গতকাল বুধবারও যানজটে নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। দিনের শুরুতে হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি, সেই সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে রাজধানীজুড়ে। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিনড়ব সড়কে ভেঙে পড়া গাছের ডালপালার কারণে সড়কে যান চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। নিত্য যানজটের নগরীতে অফিস সময়ে বৃষ্টি যেন ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে রাজধানীবাসীর। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গেছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়ে অফিসগামী মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে রাজধানীর বিভিনড়ব বাস পয়েন্টে অফিসমুখী মানুষ এসে জড়ো হতে থাকে। গন্তব্যে যেতে সবাই হুড়োহুড়িতে ব্যস্ত। কেউ কেউ অফিসের সময় হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে গাড়ির দরজায় ঝুলে পড়েছেন। কেউবা আবার সেই সুযোগটুকুও পাচ্ছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও রাইড শেয়ারিং অ্যাপস কিংবা নানা উপায়ে চেষ্টা করছেন গন্তব্যে পৌঁছাতে।
অন্যদিকে সকালের বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বিভিনড়ব এলাকায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও পরবর্তীতে তা কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ার কারণে রাজধানীর বিভিনড়ব সড়কে গাছ পড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে ঝোড়ো বৃষ্টিতে শুরু হওয়া দিনটি অফিসগামী ও কাজে বের হওয়া মানুষের ভোগান্তিতে ফেলেছে। কালবৈশাখীতে রাজধানীর বিভিনড়ব স্থানে গাছের ডাল বা গাছ ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় একটি গাছ উপড়ে পড়েছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলিস্তান, পান্থপথ, কাকরাইল, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বাংলামোটর, বিজয় স্মরণী, জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী, বনানী, বাড্ডা, রামপুরা, উত্তরা এলাকায় যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ দেখা যায়। রাজধানীর রেডিসন মোড় থেকে বনানী ফ্লাইওভার হয়ে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কাকলী পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজট। এদিকে বনানী থেকে কামাল আতাতুর্ক হয়ে গুলশান-১ ও ২ এবং বাড্ডা গুলশান লিংক রোডের রয়েছে প্রচণ্ড যানজট। এদিকে বারিধারা, নতুনবাজার, রামপুরা, উত্তরা বিমানবন্দর, আব্দুল্লাহপুর এলাকায় রয়েছে যানজট।
বাস যাত্রী ইমাম হোসেন বলেন, বাসা থেকে অফিসে যাবার সময় ও অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় দুইবারই যানজটে পড়তে হয়। বৃষ্টির কারণে গরম একটু কম থাকায় একটু স্বস্তি পাচ্ছি। তবে যানজটের কারণে এক জায়গায় বসে থাকতে ভালো লাগে না। দিনের বেশিরভাগ সময় বৃষ্টি ও তীব্র যানজটে দুর্ভোগ বেড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন