বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চার জেলায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ২০ সদস্য আটক

প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

লক্ষীপুর ,মাগুরায় ও চাঁপাইনাবাবগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্রসহ ২০ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। নেত্রকোনায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে একজনকে আটক করে এনএসআই। পরীক্ষা শুরুর আগেই ও পরীক্ষা চলাকালীন তাদের আটক করা হয়। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর বিস্তারিত:
স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানায়, মাগুরায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে অসৎ উপায় অবলম্বনের অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল পরীক্ষা চলাকালীন মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও এজি একাডেমি কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার তারানা আফরোজ, মহম্মদপুরের সোহেল রানা ও একই উপজেলার ইসমত আরা ঝর্না। তাদের সহযোগিতাকারী হিসেবে আটক হয় মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম ফয়সাল, মাগুরা শহরের ইফতেখার ইসলাম এবং মহম্মদপুরের শাহানা বেগম। আটকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ভ‚য়া প্রশ্নপত্র দিয়ে প্রতারণা অভিযোগে হায়াত মাহমু নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল সকালে জেলা শহরের গ্রীনভিউ স্কুলের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া হায়াত নওগাঁর হাট শিবপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। গ্রীনভিউ স্কুল কেন্দ্র্রের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কর বলেন, কথাবার্তা আর চলা ফেলায় সন্দেহজনক হওয়ায় সকালে পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে থেকে হায়াতকে আটক করে বিশেষ গোয়েন্দা বাহিনী। এ সময় গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা তার ফোনের ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটস অ্যাপে প্রশ্নপত্র বিষয়ক কিছু সন্দেহজনক লেখা দেখতে পেয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ল²ীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ল²ীপুরে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির সময় রামগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যসহ ১০ জন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর আগেই গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
পুলিশ সুপার জানান, দেশব্যাপী প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ বিশেষ ল²ীপুরে ২৩টি কেন্দ্রে ১৩ হাজার ১০৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এটাকে কেন্দ্র করে একটি চক্র রামগঞ্জ উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের আমিররেন্নেছা ভবন থেকে প্রশ্নপত্র দেয়ার নামে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা, সনদপত্র হাতিয়ে নেয়ার তথ্যে অভিযানে নামে ডিবি পুলিশ। সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে ওই ভবন থেকে মাহমুদুল হোসাইন, তার স্ত্রী শারমীন আক্তার, সুমি আক্তার, মোরশেদা জান্নাত রেবু, সুরাইয়া আক্তার, তানিয়া বাসার, তাসনিম আক্তার ও সারমিন আক্তারকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ প্রত্যেক অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় তাদের কাছ থেকে উত্তরপত্র সম্বিলিত ভুয়া প্রশ্নপত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের খালি চেকের পাতা, শিক্ষা সনদের মূলকপি, ১২টি পরীক্ষার প্রবেশপত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে মনজুর হোসেন, রহমত উল্লাহ, পারভেজ হোসেন, জহিরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন সবুজকে আটক করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ, সহকারি পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান, ডিআই ওয়ান আজিজুর রহমান মিয়া।
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : নেত্রকোনা আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে গতকাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে মো. জহিরুল ইসলাম ফকির নামে একজন পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশে দিয়েছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে নেত্রকোনা আবু আব্বাস ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান ভবন ৩০৩ নং কক্ষে মো. জহিরুল ইসলাম ফকির মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে (হোয়াটস্ এ্যাপ)-এ হলের বাহিরে পাঠায়। বিষয়টি টের পেয়ে এন এস আই’র লোকজন ওই হলে কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেনকে জানালে তাৎক্ষণিক জহিরুল ইসলাম ফকিরকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ওই হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক অধ্যাপক মো. সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে জহিরুল ইসলাম ফকিরকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সোহেল রানা জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক জহিরুল ইসলাম ফকিরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন