শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চিকিৎসাধীন সাঁওতালদের হাতকড়া খোলার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাঁওতালদের কোমর থেকে দড়ি ও হাতকড়া খুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করে কালকের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টে জমা দিতে বলা হয়েছে ঢাকার পুলিশ কমিশনার, রংপুরের ডিআইজি ও গাইবান্ধার পুলিশ সুপারকে।
এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চে সোমবার এই আদেশ দেয়। পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার সময় হাতকড়া পরিয়ে রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহা পরিদর্শক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, রংপুরের ডিআইজি, গাইবান্ধার পুলিশ সুপারসহ পাঁচজনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চিনিকল কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে আহত তিন সাঁওতালকে কোমরে দড়ি বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার খবর গণমাধ্যমে আসার পর হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আদালতে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
গত ৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও সাঁওতালদের সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে তিন সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অনেকে। ওই ঘটনায় আহত তিন তিন সাঁওতালকে হাসপাতালে হাতকড়া পরিয়ে রাখার খবর রোববার সংবাদ মাধ্যমে আসে। এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদনটি করেন জ্যোতির্ময় বড়–য়া।
আদালতের আদেশের পর জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, যে আসামি মুমূর্ষু অবস্থায় থাকে কিংবা নিজে চলাচল করতে অপারগ হয়, তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাখার কোনো কারণ নেই। শারীরিকভাবে সক্ষম আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু যার দুটো পায়ে গুলি লেগেছে তার তো আর পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সে অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাচলই করতে পারে না, তাকে হাতকড়া পরিয়ে এই অমানবিক আচরণ করার কোনো কারণ আমি দেখি না। এই আইনজীবী বলেন, রংপুর পুলিশকে তিনি হাতকড়া পরিয়ে রাখার কারণ জিজ্ঞেস করেছিলেন। তাদেরও কোনো ধারণা নেই, কেন আসলে তাদের হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আদালত হাতকড়া খুলে দিতে বলেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন