মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নিয়োগ পরীক্ষার ফি কমানোর পরিকল্পনা নেই -সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষার ফি কমানো ও ফি গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলের ক্ষেত্রে আপাতত সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে সংসদে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
রোববার দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে এস এম মোস্তফা রশিদীর (খুলনা-৪) প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের নিকট হতে পে-অর্ডার/চালান/পোস্টাল অর্ডার নেওয়ার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে বিসিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে ‘অনগ্রসর নাগরিক’ ব্যতীত সব প্রার্থীর জন্য অফেরতযোগ্য সাতশ’ এবং একশ’ টাকা নেওয়া হয়। এছাড়াও ১৩-১৭ গ্রেডের পদে কর্মচারী নিয়োগের জন্য অফেরতযোগ্য একশ’ টাকা এবং ১৮-২০ গ্রেডের পদে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে অফেরতযোগ্য ৫০ টাকা ফি নেওয়া হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে আবেদনকারীদের কাছ থেকে নিয়োগ পরীক্ষার ব্যয় নির্বাহের জন্য স্বল্প পরিমাণ ফি আদায় করা হয়ে থাকে। তাই নিয়োগ পরীক্ষার ফি কমানোর ক্ষেত্রে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই।
ইলিশ ধরা বন্ধে জেলেদের ভর্তুকি
সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক জানিয়েছেন, ইলিশ-প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা বন্ধে জেলেদের ভর্তুকির আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন।
মন্ত্রী বলেন, জেলেদের আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাটকা এলাকায় বিগত সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ জেলার ১১২টি উপজেলায় বিস্তৃত হয়েছে। পাশাপাশি সহায়তাপ্রাপ্ত জেলের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এ জন্য ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৬২ জন জেলেকে পরিবার প্রতি প্রত্যেক মাসে ৮০ কেজি হিসেবে ৫ মাসের জন্য ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৪ দশমিক ৮০ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা এবং পরিবার প্রতি মাসিক এক হাজার টাকা হিসেবে ৫ মাসের জন্য ১৯২ কোটি টাকা ২৩ লাখ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আগামী ইলিশ প্রজনন মৌসুমে জাটকা আহরণে জেলেদের নিরুৎসাহিত করতে মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি জানান, ২০১৬ সালে প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা বন্ধের লক্ষ্যে ওই সময় ১ মাস দরিদ্র জেলেদের ৮০ কেজি হারে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৬২টি পরিবারকে ৩০ হাজার ৭৫৬ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন চাল এবং পরিবার প্রতি মাসিক এক হাজার টাকা হিসেবে ৩৮ কোটি ৪৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা প্রদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধানী রয়েছে।
নজরুল ইসলাম চৌধুরীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে জুলাই ২০১৫ হতে জানুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত ৪৬ হাজার ২৫৭ দশমিক ৫৮ মে. টন মৎস্য ও মৎসপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩৩৯ দশমিক ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। তবে বিগত অর্থবছরে ৮৩ হাজার ৫২৪ দশমিক ৩৭ মে. টন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানিতে সরকারের কোনো অর্থ প্রত্যক্ষভাবে ব্যয় হয়নি।
ডিএনডি এলাকায় পানিবদ্ধতা দূর হবে
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের গোলাম দস্তগীরের প্রশ্নোউত্তর পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকায় পানিবদ্ধতা দূর করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ডিএনডি সেচ প্রকল্প এলাকায় নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং পানিবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ৫৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ডিএনডি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন (ফ্রেজ-২)’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ডিপিপি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলাধীন বিশনন্দী বাজার হতে তিতিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকামেলায় ডিএনডি সেচ প্রকল্পধীন বিভিন্ন নিষ্কাশন খালের সংস্কার শীর্ষক দু’টি প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় নারায়ণগঞ্জ জেলায় কোনো খাল খনন করা না হলেও, দেশব্যাপী বাঁধ পুনরাকৃতিকরণ ও নদী/খাল পুনঃখননের লক্ষ্যে ১ হাজার ৪০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক বর্তমান নদী/খাল ও রাস্তা/বাঁধের চেইনেজ উল্লেখপূর্বক ডিপিপি পুনর্গঠনের কাজ চলমান রয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন