মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বেসামরিক লোকজনের ওপর আঘাত হানতে সুইডিশ গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সুইডেনের তৈরি অস্ত্রগুলো সম্ভবত ১৯৮০-এর দশকে রপ্তানি করা হয়েছিল। অস্ত্র ও দ্বৈত ব্যবহারের পণ্য বিষয়ে নজরদারি সংস্থা সুইডিশ ইন্সপেক্টরেট ফর স্ট্র্যাটেজিক প্রডাক্টস (আইএসপি) কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আইএসপির কার্ল এভার্টসন সংবাদ সংস্থা টিটির কাছে মন্তব্য করেছেন, এটি অবশ্যই গুরুতর, যদি তা বিদ্যমান বিধান লংঘন করে থাকে। উল্লেখ্য, সুইডেন সাংবিধানিক আইন ও বিধান অনুযায়ী যুদ্ধরত কোনো দেশে বা মানবাধিকার লংঘিত হওয়া সামরিক জান্তা শাসিত কোনো দেশে অস্ত্র বিক্রি করে না। এ কারণেই জান্তাশাসিত মিয়ানমারে নিজের জনগণের বিরুদ্ধে সুইডিশ অস্ত্র ব্যবহারের খবর প্রকাশ পাওয়ায় তা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সুইডেনে। মিয়ানমারের কারেন রাজ্যের একটি প্রতিরোধকারী গোষ্ঠী সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর বেশ কিছু গ্রেনেড লঞ্চার আটক করেছে, যা সুইডেনের তৈরি বলে প্রতীয়মান হয়। কারেন প্রতিরোধ বাহিনী ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুইডিশ রেডিও একোটকে বলেছেন, মিয়ানমারের জান্তা কারেন রাজ্যের সামরিক ও বেসামরিক উভয় লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধেই সুইডেনের এই অস্ত্র ব্যবহার করছে। আইএসপির আর্মামেন্টস গ্রুপের প্রধান কার্ল এভার্টসন সংবাদ সংস্থা টিটিকে বলেছেন, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য তিনি এখনো জানেন না। তিনি বলেন, ১৯৮০-এর দশকে মিয়ানমারে (তদানীন্তন নাম বার্মা) একবারই মাত্র উল্লিখিত অস্ত্রটি সুইডেন সরাসরি রপ্তানি করেছিল। চালানটি ছিল খুব ছোট। উল্লেখ্য, ১৯৯০-এর দশক থেকে ইইউ মিয়ানমারে যুদ্ধাস্ত্র রপ্তানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সুইডেন ১৯৬০-এর দশকে এবং এর পরে বেশ কিছু দেশে ওই ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। তবে সে ক্ষেত্রে শর্ত ছিল যে ক্রেতা দেশ অস্ত্রগুলো শুধু নিজেরা ব্যবহার করতে পারবে, অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে পারবে না। ইন্ডিপেনডেন্ট ইউকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন