এবার খেজুরের চালানে লুকিয়ে আনা হলো বিদেশি সিগারেট। এই চালানটির মাধ্যমে সাত কোটি ১১ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়। খেজুরের ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা চালানে পাওয়া যায় বিদেশি ব্রান্ডের ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৪’শ শলাকা সিগারেট। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দীন মিঞা জানান, নগরীর তিন পুলের মাথা কাদের টাওয়ারস্থ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূচনা ইন্টারন্যাশনাল সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এক কন্টেইনার খেজুর আমদানি করে। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেবেল আলি বন্দর থেকে পণ্যবাহী একটি কন্টেইনারে করে ৩০ ডিসেম্বর চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বিল অব এন্ট্রি দাখিল না করায় কন্টেইনারটি ফোর্স কিপডাউন করার জন্য ইস্পাহানি সামিট এলায়েন্স টার্মিনালসকে একটি পত্র দেয়া হয়।
রোববার চালানটি খুলে কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কায়িক পরীক্ষায় ২৭৭২টি কার্টন পাওয়া যায়। যার ১৯৮৩টি কার্টনে সুকৌশলে প্যাকেটের উপরিভাগে খেজুর ও আর নিচে লুকানো অবস্থায় মন্ড ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট। শুধু ৭৮৯টি কার্টনে খেজুর পাওয়া যায়। এসব কার্টনে মোট ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৪০০ শলাকা মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট এবং ১১ হাজার ৮৫৬ কেজি খেজুর পাওয়া যায়। এসব সিগারেটের আনুমানিক মূল্য এক কোটি ১৯ লাখ টাকা। শর্তসাপেক্ষে পণ্য চালানটিতে আমদানিযোগ্য ও উচ্চ শুল্কের পণ্য সিগারেট আমদানি করে প্রায় সাত কোটি ১১ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়। এই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে বলেও জানান কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন