শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহীদ ও তার পরিবারের নামে দুদকের মামলা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ৩:৫২ পিএম

প্রায় ৪০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান এবং তার স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. শহীদ উদ্দীন খান আয়কর ফাঁকির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পরিবারসহ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন শহীদ।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন— অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. শহীদ উদ্দীন খান, তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম খান এবং তার দুই মেয়ে শেওতাজ মুনাসী খান ও বারিশা পিনাজ খান।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে কর্নেল মো. শহীদ উদ্দীন খান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মোট ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অবৈধ সম্পদের মধ্যে রাজধানীর বারিধারায় একটি ফ্ল্যাট, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে ২৬ কোটি টাকার এফডিআর ও ইস্টার্ন ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার এফডিআরসহ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের তথ্য রয়েছে। যার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে। এর আগে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক। কিন্তু শহীদ খানের পক্ষ থেকে কোনো সম্পদের হিসাব দুদকের দাখিল করা হয়নি বলে জানা গেছে।

এর আগে ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকার আয়কর ফাঁকির মামলায় অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহীদ উদ্দীন খানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০–এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় দেন। তখন থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

ওই মামলার সূত্রে জানা যায়, তিন অর্থবছরে ১৭ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার ১০৭ টাকা আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে মামলা করেন সহকারী কর কমিশনার শেখ আলী হাসান। এরপর ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর চার্জ গঠন হয়।

সূত্র আরও জানায়, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ৯৮৬ টাকার আয়ের তথ্য গোপন করে আয়কর ফাঁকির অপরাধ করেছেন। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শহীদ উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ২৫ লাখ ১২ হাজার ৬০০ টাকা আয়ের তথ্য গোপন করে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শহীদ উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৭ লাখ ১৪ হাজার ২২১ টাকা আয়ের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ মামলায় ১১ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

আদালতে মামলার বাদী সহকারী কর কমিশনার শেখ আলী হাসান তার বর্ণনায় বলেছিলেন, আসামি শহীদ উদ্দিন খান একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও তার প্রকৃত আয়–ব্যয় এবং সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রকৃত আয় ও সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি। মামলার আরজিতে তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ অর্থবছরে আটটি ব্যাংক হিসাবে শহীদ উদ্দিন খানের ১ কোটি ৩০ লাখ ১৫ হাজার ১৩২ টাকা জমা ছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন