ইনকিলাব ডেস্ক : সোমবার সাধারণ ছুটির পর ভারতের ব্যাংকগুলো পুনরায় খুলেছে। ব্যাংকের সামনে সাধারণ মানুয়ের দীর্ঘলাইন। দেশটির ১৮টি রাজ্যে একযোগে ব্যাংক বন্ধ ছিল। এতে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, গরিবরা শান্তিতে ঘুমাচ্ছে এবং ধনীরা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাচ্ছে। সোমবার উত্তর প্রদেশের গাজীপুরে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে অর্থসচিব জানান, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের পাঁচশো রুপির নতুন নোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শত শত মানুষের লাইন পড়ে যায় এটিএম মেশিন ও ব্যাংকের সামনে।
এর আগেরদিন সারাদেশজুড়ে প্রতিটি এটিএম মেশিনের সামনে শত শত মানুষ লাইন দিয়ে টাকা তোলার জন্য ভিড় জমান। কিন্তু তাদের অপেক্ষার প্রহর আর যেন শেষ হয় না। পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেয়ার চেষ্টায় সরকার সোমবার ছুটি ঘোষণা করে, এটিএম থেকে নতুন দু’হাজার রুপির নোট মিলবে মঙ্গলবার থেকেই। হাসপাতাল, পেট্রোল পাম্প বা টোল বুথের মতো বিশেষ কিছু স্থানে পুরনো নোট আরো দশদিন ব্যবহার করা যাবে।
এদিকে এই নোট বাতিলের ইস্যুতে সংসদের আসন্ন অধিবেশনে সরকারকে চেপে ধরতে বিরোধী দলগুলোও একজোট হওয়ার চেষ্টা করছে। দিল্লির লাজপত নগরে স্টেট ব্যাংক ইন্ডিয়ার একটি এটিএম মেশিনের সামনে সোমবার বেলা বারোটায় দেখা গেছে, আশপাশের আরো পাঁচ-ছ’টা মেশিনের মধ্যে শুধু এই একটাই চালু এবং বুথের সামনে অন্তত দেড়শো লোকের হুড়োহুড়ি। সোমবার শিখদের গুরু নানকের জন্মদিবস উপলক্ষে জাতীয় ছুটির দিনে প্রায় সব ব্যাংকই বন্ধ ছিল, তাই ভরসা এই গুটিকয়েক এটিএম মেশিন।
কিন্তু বিরোধী দলগুলো এই যুক্তি মানতে নারাজ। আজ বুধবার থেকে সংসদের যে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে, তাতে মানুষের এই ভোগান্তি নিয়ে সরকারকে কোণঠাসা করতে ইতোমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তারা আলোচনা চালাচ্ছে আম আদমি পার্টি, এমন কি বামপন্থীদের সঙ্গেও। পাশাপাশি এই ইস্যুতে সরকারের পদত্যাগও দাবি করে ফেলেছেন তৃণমূলের নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেছেন, এমন একটা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার আগে মানুষকে বুলডোজ করার আগে সরকারের তো ভাবা উচিত ছিল। রয়টার্স, বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন