বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আঘাতের পর পাল্টা আঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে নেতাকর্মীদের গয়েশ্বরের আহ্বান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ৬:১১ পিএম

আঘাতের জবাবে পাল্টা আঘাত দেয়ার প্রস্তুতি নিতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, একটু একটু সইতে সইতে সরকারের হাত অনেক লম্বা হয়ে গেছে। এখন তাই আঘাতের পর পাল্টা আঘাতের জন্য প্রস্তুত হতে হবে আমাদের। তিনি প্রশ্ন তুলেন, আমাকে যে মারবে, আমি তাকে কিছু বলব না, তার কপালে কি চুমু খাব?

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে নিউ মার্কেটের ঘটনায় ‘চক্রান্তমূলকভাবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারে’র প্রতিবাদে ঢাকা কলেজের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতৃবৃন্দ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শুধু সরকার পতনের আন্দোলন বা সরকার গঠন নয়, কিছু সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। ঈদের পর নয়, আন্দোলন চলমান রয়েছে। আন্দোলন হবে, এই সরকার যাবে। এ দেশ কোনো দলের নয়, জনগণের হবে এটা নিশ্চিত ভেবে আপনারা এগিয়ে যান। আন্দোলনে জীবন গেলে যাক, তবু বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াব।

তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার পতনে কিছু সংস্কারের মধ্য দিয়ে হলেও বাংলাদেশকে নতুন করে গড়তে হবে। কেননা আওয়ামী লীগ সব করে নিজেদের জন্য, জনগণের জন্য নয়। আমরা বলি মানুষ মানুষের জন্য; তারা বলে, আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের জন্য। ছাত্রলীগের অসুস্থ রাজনীতির বলি হয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের চর্চা থেকে দূরে সরে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা কলেজের ছাত্রদের ব্যাগ থেকে আগে বই-খাতা বের হতো। এখন তাদের ব্যাগ থেকে পিস্তল-চাপাতি বের হয়। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এসব তাদের হাতে তুলে দিয়েছে। আগে সভ্যতা বিকাশে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অবদান থাকলেও এখন তাদের দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। একটা সময় ছাত্রদের যে সম্মান করা হতো, এখন ছাত্রসমাজের সেই মান-সম্মান আর থাকছে না।

নিউ মার্কেটে ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের সংঘর্ষ বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের কোনো দোষ নেই। দোষটা হলো সরকার ব্যবস্থার, সরকার প্রধানের। এই হেলমেট বাহিনী তো অনেক পুরনো বিষয়। এ বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা শেখ হাসিনা। এটা বিশ্বাস করতে কারো কোনো অসুবিধা নেই। আর ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনীকে আড়াল করতে পুলিশ বাহিনীকে শেখ হাসিনা জনগণের মুখোমুখি করেছেন। একাত্তরের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চেয়েও জঘন্যভাবে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করছে সরকার। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঢাকা কলেজের ছাত্ররা ফাও খায় না। তাই এই ইস্যুতে মারামারি হয়েছে, এটা বলা যাবে না। এটা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। জাতীয় দৈনিকগুলোতে খবর ছাপা হয়েছে, কারা সেখানে মারামারি করেছে। কাদের চাপাতির আঘাতে দুইটি নিষ্পাপ প্রাণ হারিয়ে গেছে। কিন্তু উল্টো মামলা দেওয়া হয়েছে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের নামে।

তারা বলেন, হেলমেট বাহিনী ঢাকা কলেজ থেকেই তৈরি হয়েছিল। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেই এর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তারেক রহমান ছাত্রনেতাদের রাজপথে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলেই নিউ মার্কেটে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে, যা ছিল হেলমেট বাহিনীর পাইলট প্রজেক্ট। বিএনপির নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন