কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে সরকারের বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির গায়েব হওয়া ৪০ বস্তা চাল তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় ইউপি সচিবের দায়ের করা মামলায় চকিদার মো. হারুনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুল মামুন।
জানা গেছে, গত সোমবার সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে বাটইয়া ইউনিয়নের দুস্থদের জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির ৪২০ বস্তা চাল উত্তোলন করা হয়। রাতে চালের বস্তাগুলো ইউপি কার্যালয়ে রাখা হয়। পরদিন দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণের সময় বস্তা কম দেখে সন্দেহ হলে গণনা করে ৪০ বস্তা চাল কম পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ৯৪ হাজার ৫৩৯ টাকা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে চকিদার হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পান। এ ঘটনায় বাটইয়া ইউপি সচিব মো. আবদুল কাইয়ুম বাদী হয়ে গত বুধবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ হারুনকে গ্রেফতার করে এবং তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে। তবে ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও গায়েব হওয়া চালগুলো এখনও উদ্ধার হয়নি।
হারুনের পরিবারের দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন নিজের অপরাধ আড়াল করার জন্য হারুনকে ফাঁসিয়েছে। এ সময় হারুনের মুক্তি দাবি করেছেন তার পরিবার। চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন বলেন, তার কোনো লোক চাল আত্মসাতের সাথে জড়িত নয়। তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে একটি চক্র এ চেষ্টা করছে। হারুন খাদ্যগুদামের লোকজনের সাথে যোগসাজস করে গুদাম থেকেই ৪০ বস্তা চাল সরিয়ে আত্মসাৎ করেছে। কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুল মামুন জানান, এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দায়িত্ব অবহেলার কারণে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন