শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

ব্লাস্টোমাইকোসিস

প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এক ধরনের ফাংগাস দিয়ে রোগটি হয়। ফাংগাসের নাম ব্লাস্টোমাইসেস ডার্মাটিডিস। ফাংগাসটি আর্দ্র মাটিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এটি ফুসফুসে প্রবেশ করে। তবে ফুসফুসে প্রবেশ করলেই সবার রোগ হয় না। সাধারণত সর্দি জ্বরে যেমন উপসর্গ থাকে ব্লাস্টোমাইকোসিসেও একই রকম উপসর্গ থাকে। চিকিৎসা না করলে অনেক সময় সংক্রামণ জটিল আকার ধারণ করে। 

ব্লাস্টোমাইকোসিস হলেই সবার উপসর্গ থাকে না। প্রতি দুইজনে একজনের উপসর্গ দেখা যায়। ফাংগাস শরীরে ঢোকার ৩ থেকে ১৫ সপ্তাহ পরে উপসর্গ শুরু হয়। সাধারণত সর্দি-জ্বরের মত উপসর্গই থাকে। জ্বর, ঠা-ার অনুভূতি, কাশি, মাংসপেশীতে ব্যথা, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা ও বুকে ব্যথা থাকে। অনেক সময় ফাংগাস সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত চামড়া ও অস্থিতে ছড়ায়।
বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ব্লাস্টোমাইকোসিস ডায়াগনসিস করা যায়। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো পরীক্ষা হচ্ছে ফাংগাস কালচার করা। এছাড়া আক্রান্ত টিস্যুর মধ্যে ফাংগাস আছে কিনা তা মাইকোস্কোপে দেখে এবং এন্টিবডি দেখেও ব্লাস্টোমাইকোসিস ডায়াগনসিস করা যায়।
এন্টিফাংগাসল ওষুধ দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। সাধারণ থেকে মৃদু উপসর্গের জন্য ইট্রাকোনাজল ব্যবহার করা হয়। তীব্র রোগে এম্ফোটেরিসিন বি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে ভরিকনাজোল এবং পোসাকোনাজল ব্যবহার করা হচ্ছে।
ব্লাস্টোমাইকোসিস হলেই যে চিকিৎসা নিতে হবে তা নয়। একজন যোগ্য চিকিৎসকই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ষ ডা. মো. ফজলুল কবির পাভেল
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
মোবাইল : ০১৭১২৮৩৬৯৮৯

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন