১৪ই অক্টোবর বিশ্ব ডিম দিবস। ডিম একটি পুষ্টিকর খাদ্য। উহা শরীরের জন্য বহুরকমভাবে উপকারী ও স্বাস্থের জন্য অতি উত্তম। পূর্বে ধারণা করা হতো, বেশি ডিম খাওয়া ভালো না । কারণ, ডিমে অনেক কোলেসটরোল আছে, যা একসময় অসুবিধা করতে পারে। বর্তমান সমীক্ষায় দেখা যায়, ডিমে যে চর্বি থাকে তার তিন-চতুর্থাংশই হচ্ছে, হার্ট ও রক্তনালীর জন্য উপকারী অসম্পৃক্ত (ঁহংধঃঁৎধঃবফ) চর্বি, আর বাকি সামান্যটুকু অহিতকর সম্পৃক্ত (ংধঃঁৎধঃবফ) চর্বি। সবকিছু মিলে ডিম আমাদের জন্য ভালো।
ডিমে আছে ভিটামিন ‘সি’ বাদে প্রায় সবরকম ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন, কোলিন ও সিলেনিয়ামসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ। ডিমের কোলেসটরোল কোষপ্রাচীর গঠনে, স্নায়ুর আবরণ, ভিটামিন ‘ডি’ ও হরমোন তৈরিতে খু-উ-ব দরকার। ডিমে হার্টের জন্য উপকারী ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড আছে। ডিমের কোলিন মস্তিস্ক গঠন ও উহা সতেজ রাখার জন্য প্রয়োজন। এসকল ভিটামিন, খনিজ, কোলেসটরোল ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিডের প্রায় পুরোটাই থাকে ডিমের কুসুমে । তাই পুষ্টির কথা বিবেচনা করলে কুসুম বাদে ডিম খেয়ে তেমন কিছু পাওয়া যায় না। স্বাদে ও গুণে কুসুমটাই অনন্য।
ডিমে আছে অতি উঁচু মানের প্রোটিন, যা শরীর গঠন ও তার ক্ষয়পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। শিশুর ক্রমবিকাশে- ভাত বা খিচুড়ি খাওয়া শুরু করলে, অনেক সময়ই সাথে ডিম খাওয়ার কথা আসে।
বিশেষ কোন সমস্যা না থাকলে, দিনে একটি করে ডিম খাওয়া যায়। চর্বিযুক্ত মাংস ও দুগ্ধজাত খাবার খেয়ে যতটা কোলেসটরোল বাড়ে, ডিম খেয়ে ততটা বাড়ে না। কোলেসটরোল নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিমের চেয়ে চর্বিযুক্ত মাংস, দুগ্ধজাত খাবার, স্থূলতা, ধূমপান ও বিষণœতার দিকে বেশি নজর দেয়া উচিত।
সাদা (যিরঃব) ও বাদামি (নৎড়হি) ডিমে পুষ্টিগতভাবে কোনো পার্থক্য নাই। হাঁসের ডিম ও মুরগির ডিম সমান উপকারী। তবে হাঁসের ডিম বড় হওয়ায় উহাতে পুষ্টিমান কিছুটা বেশি থাকে। বয়েল ও ফ্রাই করা ডিমেও তেমন একটা তফাৎ নাই। সবচেয়ে ভালো-অল্প অলিভ অয়েল দিয়ে সামান্য তাপে ডিম ফ্রাই
করে খেলে।
রুক্ষচুলের জন্য ডিম অসাধারণ একটা প্রোটিন প্যাক। ডিম ফেটিয়ে চুলে আধঘণ্টা মাখিয়ে রেখে শ্যাম্পু করলে, চুল হবে নরম ও ঝলমলে।
ষ ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ (রাসেল)
ইয়ামাগাতা হাসপাতাল, লালমাটিয়া, ঢাকা
হধংরৎঁফফরহ১৫৪৪@মসধরষ.পড়স
০১৯৮০৪৮৫০০৭
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন