শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

নৌ-ঘাটে চাঁদাবাজি, হয়রানি-যানজট : যানজটমুক্ত রাখতে মাঠে হাইওয়ে পুলিশ

একলাছ হক | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৩ এএম

রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে আগামী শুক্রবার থেকে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের ছুটি শুরু হচ্ছে। ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই বাড়ছে মানুষের বাড়ি যাওয়ার চাপ। শুক্র-শনি ও মে দিবস মিলিয়ে টানা ছয়দিনের ছুটি হচ্ছে এবার। রাজধানীর গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদর চাপ বাড়ছে।

গত কয়েকদিন ধরে বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের তেমন চাপ না থাকলেও গতকাল দুপুরের পর থেকেই লোকসমাগম বেড়েছে। ফলে পর্যাপ্ত যাত্রী থাকায় নির্ধারিত সময়ে বাস ছাড়ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রী ও কাউন্টারের কর্মীরা। যাত্রীদের নিরাপত্তায় টার্মিনালগুলোতে পুলিশ, র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট ও ভিজিলেন্স টিম কাজ করছে। তবে ঈদকেন্দ্রিক বাসভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। শুক্রবার থেকে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে। ফলে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই বিভিন্ন টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। রাতে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিন বাস বাস টার্মিনালগুলোতে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা আসছেন। ঈদের আগে শেষ কার্যদিবস হওয়ায় অফিস শেষ করেই ঘরমুখো মানুষ ছুটছেন বিভিন্ন টার্মিনালে। কেউ আসছেন বাসে করে, কেউ রিকশায় আবার অনেকে আসছেন নিজের গাড়িতে করে। টার্মিনালে প্রবেশ করেই নিজ নিজ গন্ত্যব্যের বাসে উঠছেন যাত্রীরা। সায়েদাবাদ থেকে সিলেট ও চট্টগ্রাম ও খুলনাগামী বাসগুলোতে গত কয়েক দিনের তুলনায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সাইন বোর্ড থেকে মেঘনা পর্যন্ত মোট ৭টি পয়েন্টে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সানারপাড়, চিটাগাংরোড, কাঁচপুর, মদনপুর, মুগড়াপাড়া ও মেঘনা টুলপ্লাজার সামনের থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে সিগ্যানালের কারণে একটু বেশি যানজাট সৃষ্টি হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া ঘাটে চাঁদাবাজি, হয়রানি ও যানজটের নেপথ্যে রয়েছে নানা কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে মহাসড়কে সৃষ্ট দীর্ঘ সিরিয়াল। এর সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঘাট সংশ্লিষ্ট চিহ্নিত প্রভাবশালী চক্র ও কর্তৃপক্ষ। ঘাট এলাকায় যানবাহনের সারি বড় হওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দালাল চক্রের চাঁদার পরিমাণ। এছাড়া ফেরি থেকে আনলোড হওয়া প্রতিটি যানবাহন থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করে বিআইডবিøউটিসি’র কর্মচারীরা।

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি নৌরুটে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে শিমুলিয়া ঘাটে। ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে অনেকে আগেভাগেই এ নৌরুটে গ্রামের পথে ছুটছেন মানুষ। সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হতে শুরু করেন। পরে তারা ফেরি বা লঞ্চে, স্পিডবোটে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন।

বিআইডবিøউসিটি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, দুই নৌরুটে মোট সচল ৯টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে। শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলেইমান জানান, বৃহস্পতিবার ৫টি লঞ্চ ও ৩টি স্পিডবোট বেড়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি দুই নৌরুটে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫ স্পিডবোট সচল রয়েছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আবু রাসেল বলেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনেক সময় বাস কোম্পানিগুলো মানে না। যাত্রী কম থাকলে তারা ভাড়া কম নেয়। কিন্তু এখন যাত্রীর চাপ বাড়ছে তাই নির্ধারিত ভাড়া রাখা হচ্ছে। ঢাকা-যশোর রুটে ভাড়া ধরা হয়েছিল ৫৫০ টাকা। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে তা ৭০০ টাকা রাখা হচ্ছে। আবার অনেকের কাছ থেকে বকশিসের নামেও বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।

নাছিম উল আলম বরিশাল থেকে জানান, ঈদকে সামনে রেখে গতকাল থেকে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণÑপশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখী জনশ্রোত শুরুর মুখে ফেরি সেক্টরে যানবাহন পারপারের সংখ্যা বাড়লেও অপেক্ষমান থাকছে প্রায় দু’হাজার। ফলে ফেরিঘাটগুলোতে নারী ও শিশু সহ সব বয়সী মানুষের দুর্ভেগের কোন সীমা নেই। প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে মানুষের দুর্ভোগ অনেকটা মানবিক সঙ্কটও তৈরি করছে। বিআইডবিøউটিসি’র বহরের বিভিন্ন ধরনের ৫৪টি ফেরির ৪৮টি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক, ১৪ হাজার ২৮৯টি যানবাহন পারপারের পরেও বিভিন্ন সেক্টরে আটকে ছিল আরো ১ হাজার ৮শ’বেশি। আগেরদিন সংস্থাটির বহরের ৪৫টি ফেরির সাহায্যে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি যানবাহন পারপারের পরেও অপক্ষেমান ছিল ১ হাজার ৯৬৮টি। শেষ কর্মদিবসের আগেই মানুষ ঘরমুখী হতে শুরু করায় এবার আগেভাগেই ফেরি সেক্টরে যানজট বাড়ছে।

অপরদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের সাথে বরিশাল ও খুলনা বিভাগ সহ ফরিদপুর অঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক পথের চাঁদপুরÑশরিয়াতপুর সেক্টরে ৭টি ফেরিই সচল থাকায় পারাপারের সংখ্যা আগের দিনের ৭২০ থেকে ৮৬১’তে উন্নীত হলেও আপেক্ষমান ছিল ৬৮০। যা আগের দিনের চেয়ে ৪০টি কম হলেও এখনো মোট পারাপারের প্রায় ৮০ ভাগই অপক্ষেমান থাকছে। এ সেক্টরে আরো অন্তত ৩টি ফেরি মোতায়েন না করলে বর্তমান সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার সম্ভবনা নেই।

মো. শওকত হোসেন, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) থেকে জানান, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি নৌরুটে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে শিমুলিয়া ঘাটে। ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে অনেকে আগেভাগেই এ নৌরুটে গ্রামের পথে ছুটছেন মানুষ। সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হতে শুরু করেন। পরে তারা ফেরি বা লঞ্চে, স্পিডবোটে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন।

শিমুলিয়া ঘাটে সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ভিড়ও বাড়তে শুরু করেছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় ঘাটে যানবাহন নিয়ে দীর্ঘ সময় তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। শিমুলিয়া-মাঝিকান্দির সঙ্গে এবার শিমুলিয়া- বাংলাবাজার নৌরুটে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা ফেরি চালু হওয়ায় যানবাহন পারাপারে গতি বেড়েছে। দিনে ৯টি ফেরি চলাচল করছে এবং রাতে চলাচল করছে ৬টি ফেরি। ফলে রাতের বেলা আর অপেক্ষা করতে হচ্ছে না যাত্রীদের। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরকান্দি (সাত্তার মাদবর) ঘাটে নতুন আরেকটি ফেরিঘাট চালু করা হয়েছে। বুধবার থেকে নতুন ঘাটটিতে যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।

মো. নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী থেকে জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে চাঁদাবাজি, হয়রানি ও যানজটের নেপথ্যে রয়েছে নানা কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে মহাসড়কে সৃষ্ট দীর্ঘ সিরিয়াল। এর সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঘাট সংশ্লিষ্ট চিহ্নিত প্রভাবশালী চক্র ও কর্তৃপক্ষ। ঘাট এলাকায় যানবাহনের সারি বড় হওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দালাল চক্রের চাঁদার পরিমান। এছাড়া ফেরি থেকে আনলোড হওয়া প্রতিটি যানবাহন থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করে বিআইডবিøউটিসি’র কর্মচারীরা। সংশ্লিষ্টদের হিসেব মতে এভাবে প্রতিমাসে অন্তত ১০ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডবিøউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহানকে সরাসরি যানবাহনের চালক বা হেলাপারের কাছে ফেরির টিকিট না দিয়ে কেন দালালদের কাছে বিক্রয় করা হয়, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে যানবাহনের চালক, কে হেলপার, আর কে দালাল তা আমাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না। কারণ আমার লোকজন থাকে ৪ দেয়ালের মধ্যে, বাইরের সব বিষয় তাদের খেয়াল করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাছাড়া আমরা কেউ এখানকার স্থানীয় না, যে সবাইকে চিনব। তিনি আরো জানান, ফেরি থেকে যানবাহন আনলোড করার সময় কেউ কোন টাকা আদায় করে কি না আমার জানা নেই।

তরিকুল ইসলাম নয়ন সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে জানান, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ ততই বাড়ছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের গড়ে উঠা অস্থায়ী বাস কাউন্টাগুলোতে অগ্রিম টিকেট বিক্রি বাড়ছে। যাত্রীদের ও পরিবহনের চাপ গতকয়েক দিনের তুলায় দিন দিন বাড়ছে। ফলে থেমে থেমে অস্থায়ী বাস স্টপিজের বাসনে এবং মহাসড়কের সিগ্যানাল গুলোতে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না।

গতকাল সরেজমিনের দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের সাইন বোর্ড থেকে মেঘনা পর্যন্ত মোট ৭টি পয়েন্টে থেমে থেমে যানজট সৃষ্ট্ িহচ্ছে। সাইনবোর্ড, সানারপাড়, চিটাগাংরোড, কাঁচপুর, মদনপুর, মুগড়াপাড়া ও মেঘনা টুলপ্লাজার সামনের থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। তবে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে সিগ্যানালের কারণে একটু বেশি যানজাট সৃষ্টি হচ্ছে।

যানজটমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশ বেশি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যেমন ওয়ান বাই ওয়ান রোডের বেশ কিছু জায়গা গাড়ী ঘুরানোর জন্য কাটা ছিল। ঈদ উপলক্ষ্যে যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় সেই জন্য হাইওয়ে পুলিশ অনেক জাগায় সেইসব কাটাগুলিা বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ এসব কাটা জাগায় গাড়ী ঘুরালে যানজটের সৃষ্টি হয়। হানিফ পরিবহনের যাত্রী সোহাগ জানায় আমি ঢাকা থেকে চিটাগাং যাচ্ছি । নারায়ণগঞ্জে আসতে বেশি সময় লাগিনি। সিগ্যানালে একটু যানজট ছিল তবে সহনীয়। স্টার লাইন পরিবহনের ড্রাইভার মানিক বলেন, ফেনী থেকে ঢাকা আসছে বেশ কয়েক জায়গায় যানজটের কবলে পড়েছি তবে বেশিক্ষণ বসে থাকতে হয়নি।

হাইওয়ে পুলিশের ঢাকা চট্টগ্রাম ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জ অংশের দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সুত্রধর ইনকিলাবকে জানান, ঈদ উপলক্ষে একটু যাত্রীচাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৮টি ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ৭টি ট্রাফিক টিম যানজট নিরসনে কাজ করছে। তাছাড়া ৩টি মোবাইল টিম ও ৩টি মোটরচাইকেলে টিম কাজ করছে। কোথাও কোন যানজটের খবর পেলে তাৎক্ষনি তারা ছুটে যাবে সেখানে। ঈদের বাড়ি ফেরা মানুষ যেন যানজটমুক্ত নিরাপদে ফিরতে পারে সেই জন্য হাইওয়ে পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। এখন পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করছি কোন সমস্যা এবার হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন