শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সউদী বাদশাহ ও ক্রাউন প্রিন্সের সাথে এরদোগানের বৈঠক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ৪:৪২ পিএম

আঙ্কারা এবং রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে বুধবার সউদী আরব সফরে গিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজপ তাইয়্যেপ এরদোগান। পরের দিন বৃহস্পতিবার তিনি সউদী বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সাথে দেখা করেছেন।

জেদ্দার আল-সালাম রাজপ্রাসাদে এরদোগানকে বাদশাহ সালমান স্বাগত জানান এবং দুই নেতা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকটি পাঁচ বছরের মধ্যে তুর্কি ও সউদী নেতাদের মধ্যে প্রথম বৈঠক হিসেবে চিহ্নিত। পরে তুর্কি প্রেসিডেন্ট ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

এরদোগান দুদিনের কর্ম সফরে বুধবার সউদী আরবে পৌঁছেছিলেন। তার বিমান জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে যেখানে মক্কা অঞ্চলের আমির খালিদ আল-ফয়সাল তাকে স্বাগত জানান। রিয়াদে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ফাতিহ উলুসয় এবং অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনে (ওআইসি) তুরস্কের স্থায়ী প্রতিনিধি মেহমেত মেতিন একারও উপস্থিত ছিলেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রয়েছেন ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোগান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর, বিচারমন্ত্রী বেকির বোজদাগ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা এবং ট্রেজারি ও অর্থমন্ত্রী নুরেতিন নেবাতি। এছাড়াও প্রতিনিধি দলের অংশ হয়েছেন সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী মেহমেত নুরি এরসয়, বাণিজ্যমন্ত্রী মেহমেত মুশ, ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) ডেপুটি চেয়ারম্যান বিনালি ইলদিরিম, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এমআইটি) প্রধান হাকান ফিদান, যোগাযোগ পরিচালক ফাহরেটিন আলতুন এবং প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন।.

তুর্কি এবং সউদী আরব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য একটি ‘নতুন যুগ’ শুরু করবে, বৃহস্পতিবার সউদী আরবে যাওয়ার আগে এরদোগান বলেছিলেন। ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, আমার সফর (সউদী আরব) দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে সহযোগিতার নতুন যুগ শুরু করার জন্য আমাদের অভিন্ন ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা শিল্প এবং অর্থের মতো ক্ষেত্রগুলিতে সউদী আরবের সাথে আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি করা আমাদের সাধারণ স্বার্থে।’

এরদোগান আরও বলেন যে, তুর্কি আঞ্চলিক শান্তি নিশ্চিত করতে এবং আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে। ‘আমি বিশ্বাস করি যে আমরা আমাদের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ককে জোরদার করব,’ তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে পুনর্নবীকরণযোগ্য এবং পরিচ্ছন্ন শক্তি প্রযুক্তিতে সম্ভাবনার উপর জোর দিয়ে।’ তিনি বলেন, তার সফরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নও আলোচ্যসূচিতে থাকবে। ‘আমরা প্রতিটি অনুষ্ঠানে প্রকাশ করি যে আমরা উপসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের ভাইদের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তাকে আমাদের নিজেদের মতোই গুরুত্ব দিই।’

এরদোগান সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য ‘সংলাপ ও সহযোগিতার’ গুরুত্বের ওপরও জোর দিয়েছেন কারণ ‘হুমকি আরও জটিল হচ্ছে।’ সউদী আরবকে লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলারও নিন্দা করেন তিনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পররাষ্ট্রনীতির ভিন্নতার কারণে তুরস্ক-সউদী সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলের সউদী কনস্যুলেটে সউদী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। সূত্র: ডেইলি সাবাহ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন