রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মুসলিমদের ঘর ভাঙার মেশিনে ছবি তুলে বিপাকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ৬:৪৭ পিএম

যে জেসিবি দিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ঘর ভাঙে মোদী সরকার, ভারতে গিয়ে সেই জেসিবি-তে চড়েই কিনা 'পোজ' দিলেন বরিস জনসন! কার্যত এভাবেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সমালোচনায় সরব হলেন সেদেশের পার্লামেন্টের দুই সদস্য।

সম্প্রতি ভারত সফরে যান বরিস। প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাটে যান তিনি। সেখানেই জেসিবি সংস্থার একটি কারখানায় যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। প্রবল উৎসাহে দাঁড়িয়ে থাকা একটি আর্থমুভারের উপর উঠে দাঁড়ান। সেভাবেই উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে হাসিমুখে হাত নাড়াতে থাকেন। সেই অবস্থায় ছবিও তোলান। পরে সেই ছবি সংবাদমাধ্যম এবং সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

বিষয়টি চোখে পড়তেই এ নিয়ে সরব হয়েছেন নটিংহ্যাম পূর্বের এমপি নাদিয়া হুইট্টোম এবং কভেন্ট্রি দক্ষিণের এমপি জারা সুলতানা। তাদের বক্তব্য, সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন অংশে গোষ্ঠীসংঘর্ষ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীরও তা অজানা নয়। তিনি ভারতে গেলেন। অথচ এ নিয়ে কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করলেন না। বা মোদীকে এ নিয়ে কোনও প্রশ্নও করলেন না। বরিস জনসনের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ দুই ব্রিটিশ পার্লামেন্টেরিয়ান।

এই প্রসঙ্গে নাদিয়া বলেন, "আমরা জানি, প্রধানমন্ত্রী যখন ভারতে গিয়েছিলেন, তখন তিনি একটি অন্যতম প্রধান খনন সংস্থা জেসিবি -র কারখানায় গিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর ওই জেসিবি ব্যবহার করেই দিল্লিতে মুসলমানদের ঘর, দোকান এবং একটি ধর্মীয় স্থানের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলা হয়েছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি এই বিষয়ে মোদীকে প্রশ্ন করেছিলেন? যদি না করে থাকেন, তাহলে আমার প্রশ্ন হল কেন করেননি? আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সফর যে আদতে মোদীর চরম দক্ষিণপন্থী সরকারকেই বৈধতা দিচ্ছে, সেটা কি তিনি মেনে নিচ্ছেন?"

প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে জারা সুলতানার গলাতেও। তিনি বলেন, "তার ভারত সফরের সময়েই বিজেপি মুসলিমবিরোধী হিংসা ছড়িয়েছে। কিন্তু, বরিস জনসন এ নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতেই পরেননি। তিনি ব্যস্ত ছিলেন জেসিবি সংস্থার কারখানা দেখতে। যা দিয়ে একদিন পরই দিল্লিতে মুসলিমদের ঘর ভাঙা হয়েছিল।"

প্রসঙ্গত, জারা সুলতানার পরিবার আদতে আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দা। জারার জন্মের কিছু সময় আগেই তারা সেখান থেকে ব্রিটেনে চলে যান। দুই এমপির সমালোচনার মুখে পড়ে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সবরকম বিভেদেরই বিরোধী। এবং ব্রিটিশ সরকার সবসময়েই এর সমালোচনা করে। প্রয়োজন পড়লে বিষয়টি নিয়ে চাপও দেয়া হবে। সূত্র: ডেইলি মেইল।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন