শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

জনি ডেপের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ অ্যাম্বার হার্ডের

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০২২, ৫:৪৫ পিএম

হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ ও তার প্রাক্তন স্ত্রী অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডের আলোচিত কেসের সাক্ষ্যগ্রহণের ১৪তম দিনে ডেপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন হার্ড। বুধবার (৪ মে) ভার্জিনিয়া কোর্টরুমে তার অভিজ্ঞতা এবং তার প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ডেপের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন হার্ড।

৩৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী জানান, বিয়ের পর থেকেই তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছেন জনি ডেপ। নির্যাতনের শুরুটা চড় দিয়ে শুরু হয়েছিল। জনি ডেপ প্রথমবার তাকে শারীরিক আঘাত করেন, যেদিন তিনি তার শরীরে আঁকা একটি ট্যাটু নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন।

তিনি জানতে চেয়েছিলেন, মলিন হয়ে যাওয়া ওই ট্যাটুতে কী লেখা আছে। উত্তরে ডেপ বলেছিলেন- ‘উইনো’। উত্তর শুনে হেসে ফেলেছিলেন হার্ড, ভেবেছিলেন এটা হয়ত কোনো কৌতুক। ‘এরপরই সে আমার গালে চড় মারল। আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না হঠাৎ কী ঘটে গেল। আমি শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম।’ হার্ড তার সাক্ষ্যে আরও বলেন, এরপর তাকে আরও দুবার চড় মারেন ডেপ; বলেন, ‘তোর কাছে এটা হাসির কথা মনে হল?’

২০১১ সালে ‘দ্য রাম ডায়েরি’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেন জনি ডেপ-অ্যাম্বার হার্ড। পর্দায় প্রেম করতে করতে রিয়েল লাইফেও প্রেমে পড়েন নায়ক-নায়িকা। ২০১৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হোন। বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই ২০১৭ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে বিখ্যাত এই তারকা দম্পতির। বিচ্ছেদের এক বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে একটা লেখা লিখেছিলেন হার্ড। সেই লেখায় ২৩ বছরের বড় সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন হার্ড।

‘পাইরেট অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ এর অভিনেতা জনি ডেপের দাবি, ওই লেখার মাধ্যমে তার সাবেক স্ত্রী তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছেন এবং তাতে তার মানহানি হয়েছে। এ অভিযোগে হার্ডের কাছে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন ডেপ। মামলার বিবরণে ডেপ দাবি করেন, তিন বছরের (২০১৫ থেকে ২০১৭) যৌথ জীবনে তিনি কখনোই তার গায়ে হাত তোলেননি বা তার ওপর যৌন নির্যাতন চালাননি। বরং অনেকবার তর্কাতর্কির সময় সাবেক স্ত্রী হার্ড তার সঙ্গে সহিংস আচরণ করেছেন।

এর জবাবে জনি ডেপের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ডলারের পাল্টা মানহানির মামলা করেছেন অ্যাম্বার হার্ড। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি আদালতে এ মামলার শুনানি চলছে। মের শেষ পর্যন্ত এ বিচার কার্যক্রম চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন