শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

রমজানে অর্জিত পাথেয় নিয়ে এগিয়ে চলি খুৎবা পূর্ব বয়ান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০২২, ৪:৩১ পিএম

গুনাহ বর্জন, ইবাদতের শক্তি সঞ্চয় ও আত্মিক পাথেয় সংগ্রহের এক মহা সুযোগ হচ্ছে রমজান। এই রমজান হতে অর্জিত পাথেয় নিয়ে এগিয়ে চলি। ঈমান আমল ও আখলাক চরিত্রে আরো উন্নত হই। আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে পেশ ইমাম এসব কথা বলেন। নগরীর মহাখালিস্থ মসজিদে গাউছুল আজমে জুমার নামাজে প্রচুর মুসল্লির সমাগম ঘটে।
গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, রমজান হলো ঈমান আমলের উন্নতি ও তাকওয়া হাসিলের এক মোক্ষম সময়। এটি পুরো বছর গুনাহ বর্জন, ইবাদতের শক্তি সঞ্চয় ও আত্মিক পাথেয় সংগ্রহের এক মহা সুযোগ। ঐ ব্যক্তিই রমজান হতে কাঙ্খিত সুফল ও উপকার গ্রহণ করতে পারলো, যে নিজের জীবনকে পরিবর্তন করতে পারলো। রমজান হতে অর্জিত পাথেয় নিজের জীবনে ধারণ করতে পারলো। হতে পারলো মুত্তাকি যে কিনা আল্লাহর আনুগত্য ও তাকওয়ার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হয়েছে। বাস্তবেই রোজাদার তাকওয়ার সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হয়। নইলে রোজার ব্যাপারে সে এত সতর্ক কেন? এই সতর্কতা লোক দেখানোর জন্য নয়; শুধুই আল্লাহর ভয়ে, আল্লাহর আনুগত্যে। তাই তো আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় রোজা আমার জন্য, আর এর প্রতিদান স্বয়ং আমিই দিব। সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫১। অতএব আসুন আমরা এই রমজান হতে অর্জিত পাথেয় নিয়ে এগিয়ে চলি। ঈমান-আমল ও আখলাক চরিত্রে আরো উন্নত হই। আল্লাহ আল্লাহর রাসূলের পূর্ণ অনুগত হয়ে আখেরাতের চির সফলতার দিকে এগিয়ে যাই। খতিব বলেন, যারা রমজানের হক্ব আদায় করে যথাযথভাবে রোজা পালন করেছেন এবং তাকওয়া পরহেযগারীর গুণে গুণান্বিত হয়েছেন, ইবাদত বন্দেগীতে অগ্রগামী হয়েছেন, তারা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি, তাঁর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। এর উপর আমৃত্যু অবিচল থাকার চেষ্টা ও দোয়া করি। আর যারা রমজানকে যথাযথ কাজে লাগাতে পারেননি তারা আগামীর জন্য দৃঢ় সংকল্প করি এবং আল্লাহর মাগফিরাত ও রহমতের প্রত্যাশী হই। খতিব বলেন, এর মধ্যে অন্যতম একটি আমল হচ্ছে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোযা রাখল। অতপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখলো, সে যেন সারা বছর রোজা রাখলো। সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৪। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী আজ জুমার বয়ানে বলেন, শাওয়াল মাস একটি সম্মানিত মাস । শাওয়ালের ছয় রোজা বড় ফজিলতের। মুসলিম উম্মাহ এ রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভে ধন্য হতে পারে। হযরত রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি রমজানের সিয়াম পালনের পর শাওয়ালের ছয় রোজা রাখলো সে যেন সারা বছর রোজা রাখলো। মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ১১৬৪৷ অর্থাৎ সে এক বছর রোজা রাখার সওয়াব লাভ করবে । শাওয়ালের ছয় রোজার এই আমলটা অতিব সহজ হলেও এর সওয়াব ও ফজিলত অনক বেশি । কারও পক্ষে সহজেই সম্ভব নয় এক বছর লাগাতার রোজা রাখা। অথচ এই আমলটা সাধারণ মানুষের পক্ষেও সম্ভব। দ্বিতীয়ত : এ মাসের বিবাহশাদী বড় বরকতময় ও সুন্নত । হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, শাওয়াল মাসে বিয়ে-শাদি সুন্নত, যেরূপ শুক্রবারে জামে মসজিদে ও বড় মজলিশে আক্দ-নিকাহ সম্পন্ন করা সুন্নত। হযরত আয়েশা (রা.) এর বিবাহও শাওয়াল মাসের শুক্রবারে মসজিদে নববিতেই হয়েছিল। কাজেই এ মাসে বিবাহশাদীর ফজিলত আলাদা । তৃতীয়ত : এ মাস হজের প্রস্তুতির মাস। যারা পবিত্র হজের নিয়ত করেছেন তারা বিশেষ ভাবে হজের নিয়ম কানুন, মাসয়ালা মাসায়েল শিক্ষাসহ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকবেন । এ কারণেই এ মাসকে হজের মাসের মধ্যে পরিগণিত করা হয়েছে ।
খতিব বলেন, রমজানের পর শাওয়ালের ফজিলত অনেক । তাই রমজানের থেকে শিক্ষা নিয়ে এ মাসেও আল্লাহ প্রেমিক মুমিনগণ গুনাহের কার্যসমূহ বর্জন করত : শাওয়ালের ছয় রোজা পালনসহ অন্যান্য নেক আমলের মাঝে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন । আল্লাহ সবাইকে তৌফিক দান করেন । আমিন ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন