মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইউক্রেন সঙ্ঘাতে পশ্চিমারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভুলের পুনরাবৃত্তি করছে

রাশিয়ার আগামীকালের বিজয় দিবস কেন গুরুত্বপূর্ণ? ইউক্রেনে মার্কিন ও ইউরোপীয়দের বিশাল সামরিক মজুদ ধ্বংস ষ ওডেসায় রাশিয়ার ৪ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২২, ১২:০৫ এএম

সিঙ্গাপুরে নবনিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত নিকোলে কুদাশেভ বলেছেন, ইউক্রেনের বর্তমান সঙ্ঘাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানির সোভিয়েত ইউনিয়নে আগ্রাসন চালানোর জন্য পশ্চিমারা সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করছে। ইয়াহু নিউজ সিঙ্গাপুরের সাথে একটি সাম্প্রতিক ফোন সাক্ষাৎকারে কুদাশেভ পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেন যে, রাশিয়া ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দ্য গ্রেট প্যাট্রিয়টিক যুদ্ধের সময় জয়ের জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদানগুলো স্বীকার না করে। ইউক্রেন যুদ্ধ তৃতীয় মাসে প্রবেশ করার সময় তার মন্তব্য এসেছে।

নাৎসী জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয়ের ৭৭তম বার্ষিকী আগামীকাল পালন করবে রাশিয়া। এদিন প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেন অভিযানে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন বলে পশ্চিমাদের প্রচারণা সত্ত্বেও ক্রেমলিন থেকে তা নাকচ করে দেয়া হয়েছে। তবে জাঁকজমকের বহর দেখে কোনো বড় ধরনের ঘোষণা আসতে পারে বলে অনুমান করছেন বিশ্লেষকরা।

২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশটিতে পূর্ণ মাত্রায় অভিযান আন্তর্জাতিক নিন্দা এবং ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞার দিকে পরিচালিত করেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের আগে ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং নাৎসি জার্মানি ১৯৩৯ সালের ২৩ আগস্ট পোল্যান্ডকে উভয় পক্ষের দ্বারা বিভক্ত করার এবং প্রভাবের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোকে সীমাবদ্ধ করার জন্য একটি গোপন প্রটোকলসহ একটি অ-আগ্রাসন চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তিটি ১৯৪১ সালের ২২ জুন বাতিল করা হয়, যখন নাৎসি জার্মানি সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে।

কুদাশেভ দাবি করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো) মিত্ররা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি করার জন্য ইউক্রেনে ভিত্তি তৈরি করছে। গ্রেট প্যাট্রিয়ট ওয়ারের ক্ষেত্রে, কারণগুলোর মধ্যে একটি ছিল (এর প্রাদুর্ভাবের জন্য) পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার (সতর্কতা) আহ্বানকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেছিল এবং এটি নাৎসি, ফ্যাসিস্টদের অনুপ্রাণিত করেছিল এবং পূর্বে যাওয়ার জন্য তাদেরক্ষুধা জাগিয়েছিল’ -কুদাশেভ বলল।

‘দুর্ভাগ্যবশত, এ ট্র্যাজেডিটি ইউক্রেনের ঘটনাগুলোর সাথেই পুনরাবৃত্তি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্রদের সাথে ইউক্রেনের ফ্যাসিবাদী, চরমপন্থী এবং নব্য-নাৎসিদের রাশিয়াকে তাদের লক্ষ্য হিসাবে লক্ষ্য করার জন্য প্ররোচিত করেছে’।

রাশিয়া পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে সতর্ক করে আসছে এবং এ ইস্যুতে পশ্চিমের সাথে সামরিক সংঘর্ষের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্তরসূরি রাষ্ট্র রাশিয়া ব্যতীত ওয়ারশ চুক্তির সমস্ত প্রাক্তন সদস্যরা এখন চেকোসেøাভাকিয়া বিভক্ত হওয়ার পরে পশ্চিম জার্মানি এবং চেক প্রজাতন্ত্র এবং সেøাভাকিয়ার সাথে একীকরণের মাধ্যমে পূর্ব জার্মানিসহ ন্যাটোর সদস্য। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর সমন্বয়ে, ওয়ারশ চুক্তি শীতল যুদ্ধের সময় ন্যাটোর পাল্টা ওজন হিসাবে কাজ করেছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ গঠিত তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্র - লাটভিয়া, এস্তোনিয়া এবং লিথুয়ানিয়া - এছাড়াও ন্যাটো সদস্য।

২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া আক্রমণের পর ইউক্রেন একটি সদস্য হিসাবে ন্যাটোতে যোগদানকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সঙ্ঘাতের মধ্যে তার পরিকল্পনাটি নড়বড়ে বলে মনে হচ্ছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি বলেছেন যে, তার দেশ আপাতত ন্যাটো সদস্য হতে পারে না। রাশিয়া বারবার ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিলে গুরুতর পরিণতির জন্য সতর্ক করেছে।

রাশিয়ার এবারের বিজয় দিবস কেন গুরুত্বপূর্ণ : রাশিয়ার হাজার হাজার সৈন্য, ট্যাঙ্ক এবং সামরিক যান আগামীকাল সোমবার মস্কোর রেড স্কোয়ারের মধ্য দিয়ে মিছিল করবে, আর বার্ষিক বিজয় দিবসের প্যারেডের অংশ হিসাবে ফাইটার জেটগুলো গর্জে উঠবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৭৭তম বার্ষিকীর স্মারক গর্বের এ দিনটিকে কিছু পর্যবেক্ষক প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সরকারের প্রচারের হাতিয়ার হিসাবে দেখেন, যেটি ইউক্রেনের চলমান আক্রমণের জন্য ইতিহাসকে আঁকছে। এবং কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, পুতিন এ বছরের উদযাপন উপলক্ষকে যুদ্ধের প্রচেষ্টা বাড়াতে ব্যবহার করবেন।

‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয় যুদ্ধোত্তর সোভিয়েত জীবনে সংজ্ঞায়িত মিথ হয়ে উঠেছে, এমনকি বিপ্লবকে এর তাৎপর্যকে ছাড়িয়ে গেছে’- ব্যাখ্যা করেছেন মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাশিয়ান ইতিহাসের অধ্যাপক স্টিফেন নরিস।

‘যুদ্ধের সময় সাতাশ মিলিয়ন সোভিয়েত নাগরিক মারা গিয়েছিল এবং স্পষ্টতই একটি বড় মূল্য দিয়ে বিজয় এসেছিল। এটি যুদ্ধের সময় ত্যাগ স্বীকারও বৈধ করেছে। নোবেল-পুরষ্কার বিজয়ী লেখিকা স্বেতলানা অ্যালেক্সিভিচ বিজয়ের ইতিহাসকে প্রকৃত যুদ্ধের ইতিহাস প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমে এটিকে ভালভাবে ধরে রেখেছেন।

বিজয় দিবস যতই ঘনিয়ে আসছে, কিছু পর্যবেক্ষক বিশ্বাস করেন যে, ইউক্রেনকে পরাজিত করার অগ্রগতির অভাবের কারণে হতাশ শীর্ষ কর্তারা একটি চাপ দেওয়ার আহ্বান জানাবেন এবং পুতিন পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ ঘোষণা করবেন।

নরিস বলেন, ‘পুতিন এবং তার উপদেষ্টারা অবশ্যই ঐতিহাসিক বার্ষিকীতে মনোযোগ দেন এবং ক্ষমতায় তাদের দখল জোরদার করতে তাদের ব্যবহার করতে চান’। ‘বিজয় দিবসটি পুতিন এবং পুতিনবাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা বিবেচনা করে এটা কল্পনা করা কঠিন যে, তার সরকার কোনো উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহারের চেষ্টা করবে না। কোন ধরনের বিজয় ঘোষণা করা দেখতে কঠিন। পরিবর্তে, আমার ভয় হল পুতিন ছুটির দিনটিকে নতুন আক্রমণাত্মক এবং যুদ্ধের নতুন পর্ব ঘোষণা করতে ব্যবহার করবেন’।

কেউ কেউ উদ্বিগ্ন যে, পুতিন একটি গণসংহতি ঘোষণা করতে পারেন, সক্ষম দেহের পুরুষদের সেবায় ডাকতে পারেন। তবে, মার্চ মাসে সামরিক আইন এবং নিয়োগের পূর্বের গুজব ভুল প্রমাণিত হয়েছিল।
‘এটি একটি সাধারণ নিয়োগ করা কঠিন: আমি মনে করি যে, তখনই রাশিয়ানরা বেরিয়ে আসবে এবং প্রতিবাদ করবে’, বলেছেন এমআইটি-এর ইতিহাসের অধ্যাপক এলিজাবেথ উড।

‘আপনি বুরিয়াতিয়াতে (সাইবেরিয়ার একটি পাহাড়ী অঞ্চল) সেসব লোককে নিয়োগ করতে পারেন, তবে আপনি যদি মুসকোভাইটদের নিয়োগ করেন তবে তারা প্রতিবাদ করবে। আমি মনে করি না তিনি বিজয় ঘোষণা করতে পারবেন। আমি মনে করি তারা একটি দীর্ঘ সেøাগিং যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে’।
বিজয় দিবস প্রথম পালিত হয়েছিল ১৯৬৫ সালে সোভিয়েত নেতা লিওনিড ব্রেজনেভের অধীনে, যিনি নিজে যুদ্ধের একজন অভিজ্ঞ ছিলেন।

এটি রাশিয়ান ডায়াস্পোরা জুড়ে এবং ইউক্রেনসহ অন্যান্য প্রাক্তন সোভিয়েত দেশগুলোতেও চিহ্নিত করা হয়েছে, যা ২০১৫ সালে প্রতীকীভাবে তারিখটিকে ৮ মে-এ স্থানান্তরিত করেছিল, যখন ইউরোপ দিনটিকে স্মরণ করে।
১৯৪৫ সালের ৮ মে অবশিষ্ট জার্মান বাহিনীর কমান্ডার রেড আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন, তবে বার্লিন এবং মস্কোর মধ্যে সময়ের পার্থক্যের কারণে রাশিয়ায় অনুষ্ঠানটি ৯ মে চিহ্নিত করা হয়। বিজয় দিবস নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ান জনগণ এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যান্য জাতিগুলোর অপরিমেয় আত্মত্যাগকে চিহ্নিত করে। ১৯৪১ সালের ২২ জুন জার্মান সেনাবাহিনী অপারেশন বারবারোসা নামে ইউএসএসআর আক্রমণ শুরু করে।

সোভিয়েত শাসক জোসেফ স্টালিন অপ্রস্তুতভাবে ধরা পড়েছিলেন: নাৎসিদের সাথে ১৯৩৯ সালের পোল্যান্ড আক্রমণে অংশ নিয়েছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন অ্যাডলফ হিটলারের সাথে তার চুক্তি তাকে রক্ষা করবে এবং বিদেশী কূটনীতিক বা তার নিজস্ব এজেন্টদের সতর্কবার্তায় কান দেয়নি।
এদিকে হিটলার অহংকারীভাবে বিশ্বাস করেছিলেন যে, যুদ্ধ তিন মাসের বেশি স্থায়ী হবে না; তার সৈন্যরা শীতের কাপড় আনতে বিরক্ত করেনি। যদিও প্রাথমিক জার্মান সাফল্য ছিল, রেড আর্মি হাল ছাড়বে না।

‘ইউক্রেন সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় রাশিয়া’ : ইউক্রেনের চলমান সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় রাশিয়া। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে নিজের এমন অবস্থানের কথা স্পষ্ট করেছে মস্কো। ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের উদ্যোগের প্রতিও সমর্থন দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। তার এই প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়াসহ পরিষদের সবকটি সদস্য দেশ। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ওই হামলা শুরুর পর শুক্রবার প্রথমবারের মতো এ নিয়ে সর্বসম্মত কোনো বিবৃতি দিতে সমর্থ হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।

বিবৃতির সারসংক্ষেপ তৈরি করেছে নরওয়ে ও মেক্সিকো। এতে বলা হয়, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেনের শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী, এর সব সদস্য রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক বিরোধ শান্তিপূর্ণ উপায়ে মীমাংসার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি মেনে নিয়েছে। ইউক্রেন সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগের প্রতি নিরাপত্তা পরিষদের জোরালো সমর্থন রয়েছে।
ইউক্রেনে মার্কিন ও ইউরোপীয়দের বিশাল সামরিক মজুদ ধ্বংস : ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে বোহদুখিভ রেলওয়ে স্টেশনের কাছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান দেশগুলো থেকে আসা বিশাল সামরিক মজুদ ধ্বংস করা হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই দাবি করেছে। গতকাল শনিবার আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, বন্দরনগরী ওডেসার কাছে ডাসনেতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ১৮টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি গোলাবারুদ ভাণ্ডারও আছে। তবে রাশিয়ার এ দাবি নিয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ওডেসায় রাশিয়ার ৪ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা : ইউক্রেনের দক্ষিণ বন্দর নগরী ওডেসায় ৪টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসন এই তথ্য জানিয়েছে। গতকাল শনিবার সিএনএনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর অপারেশনাল কমান্ড (দক্ষিণ) বলেছে, ‘শত্রুরা শুধুমাত্র এই অঞ্চলের অবকাঠামোর ধ্বংসই নয়, বেসামরিক জনগণের ওপর মানসিক চাপও অব্যাহত রেখেছে’। তবে এই হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৭৩ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সঙ্ঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পুর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা, ইয়াহু নিউজ, এপি ও রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Km Faruk ৮ মে, ২০২২, ৪:২৪ এএম says : 0
এই যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য কষ্ট পান? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি হয়তো এখন ফিলিস্তিনের মানুষের কষ্ট বুঝতে পারতেছে। ইউক্রেনের এই প্রেসিডেন্ট যতবার সুযোগ পেয়েছে ইসরায়েলের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এমনকি, গতবছর যখন ইসরায়েলের বিপক্ষে নিন্দা প্রস্তাব এবং ফিলিস্তিনের মানুষের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে জাতিসংঘের অধিবেশন বসে, জেলেনেস্কি সেখান থেকে বের হয়ে যায়।
Total Reply(0)
Das Ratan Kumar Ratan ৮ মে, ২০২২, ৪:২৬ এএম says : 0
যুক্তরাষ্ট্রের চক্রান্ত ন্যাটোর নামে রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করা রাশিয়ার সিদ্ধান্ত যথাযথ।
Total Reply(0)
Das Ratan Kumar Ratan ৮ মে, ২০২২, ৪:২৬ এএম says : 0
যুক্তরাষ্ট্রের চক্রান্ত ন্যাটোর নামে রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করা রাশিয়ার সিদ্ধান্ত যথাযথ।
Total Reply(0)
Abrarul Hoque ৮ মে, ২০২২, ৪:২৬ এএম says : 0
আমেরিকার দিন শেষ, সামনে চিন, রাশিয়ার খেলা শুরু হবে
Total Reply(0)
মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সাদমান ৮ মে, ২০২২, ৪:২৭ এএম says : 0
যুক্তরাষ্ট্রে কিছুটা আধিপত্য কমবে
Total Reply(0)
Md Ruman Hossain ৮ মে, ২০২২, ৪:২৭ এএম says : 0
সবই মানলাম। যুগ যুগ ধরে ফিলিস্থিনিদের ওপর ঈজরায়েল কর্তৃক নির্যাতন-নিপীড়নের, হত্যা, ভূমি দখল এসবের কোনো প্রতিবাদ হয় না। বিশ্বমিডিয়াও পক্ষপাতিত করে! কোনো যুদ্ধের পক্ষে আমার মতামত না। ইউক্রেনের জন্য আমারও খারাপ লাহছে। যেমনটি লাগে ফিলিস্থিনিদের ক্ষেত্রে। রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও কষ্ট লাগে। লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাক, আফগান তারাও কিন্তু মানুষ এবং কেউ ই আমেরিকাকে হামলা করেনি
Total Reply(0)
Prince Mahmud ৮ মে, ২০২২, ৪:২৭ এএম says : 0
যুক্তরাষ্ট্রের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ইউক্রেন এখন ভুলের মাশুল দিচ্ছে। আট বছর পূর্ব থেকেই এই ফাঁদ পাতার চেষ্টা হচ্ছিল। পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার কর্তৃত্ব খর্ব করতে পারলে পুরো বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হবে। এতে করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারলে চীনকেও কোণঠাসা করার পথ প্রশস্ত হবে। চীন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভয়ঙ্কর বিষধর সাপের ন্যায়। দাওয়াত করে ডেকে ৠণ দিয়ে চীন দেশ দখলের ছক আঁকে...
Total Reply(0)
shirajumazum ৮ মে, ২০২২, ২:২৪ পিএম says : 0
some one involved in the war due to safe the nation on the other hand maximums are involved on proxy war which impacts different parts of the Human being. of them affected global economy, ganders ratio ,(because of many male will be died on the war) so numbers of widow will be increased .and corruption will be increased beside this unemployed numbers will be increased so none will eager to marry. Many problem will be seen. dear wise all please solve the issue negotiate one each other jointly
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন