বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মোটরসাইকেল ভয়ঙ্কর

রাজধানীর রাজপথ-অলি-গলিও বাইকের দখলে পঙ্গু হাসপাতালে দুর্ঘটনার শিকার রোগীদের ভিড় গণপরিবহনকে উন্নত করলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব : সাইদুর রহমান প্রতিদিনে গড়ে ২০০ জন রোগী চিকি

খলিলুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২২, ১২:০২ এএম

দেশে অনিবন্ধিত মোটরসাইকেল বেসুমার। ঘুষ-দুর্নীতি এবং বেশি টাকা ফির কারণে হাজার হাজার মোটরসাইকেল অনিবন্ধিত অবস্থায় সড়কে চলছে। তবে সারাদেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮৮। এর মধ্যে শুধু রাজধানী ঢাকাই রয়েছেÑ ৯ লাখ ১৪ হাজার ৮১৭টি মোটরসাইকেল চলাচল করছে। এসব মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতির কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে প্রাণ। অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন। বেঁচে যাওয়াদের সুস্থ হতে তিন সপ্তাহ থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসরা বলছেন, মোট সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় ৪৮ শতাংশই মোটরসাইকেলের। অনেকের হাত-পা কেটে ফেলতে হয়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক মোটরসাইকেল বাজারে আসছে। মুহূর্তেই গতি উঠা মোটরসাইকেলগুলো সহজে দুর্ঘটনায় পড়ে। সড়কে নানা ভঙ্গিতে গতির প্রতিযোগিতা উঠে। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল।

জানতে চাইলে বিআরটিএ’র মুখপাত্র পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সঠিক নিয়ম মেনেই লাইসেন্স দেয়া হয়। কিন্তু লাইসেন্স নেয়ার পর চালকরা নিয়ম মানেন না। এছাড়াও অনেকেই লাইসেন্স না নিয়ে মোটরসাইকেলে চালাচ্ছেন। এমনকি যত্রতত্র মোটরসাইকেল চালানোর কারণেই দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করছেন তিনি। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার মূল কারণ; ঈদে ফাঁকা সড়কে উঠতি বয়সি তরুণ-কিশোরদের বেপরোয়া মনভাব। এছাড়া মহাসড়কে কীভাবে চলতে হয় তরুণ ও কিশোররা অনেকেই তা ভালোভাবে জানে না। উন্নত দেশগুলো মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু বাংলাদেশের চিত্র ঠিক উল্টো। কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত গতিসম্পন্ন মোটরসাইকেল উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে মনে করেন তিনি।

গত কয়েকদিন অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, রাজধানীর প্রতিটি রাস্তায় মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেন। বড় বড় বাসের সাইটে একটু ফাঁক পেলেই মোটরসাইকেল ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, রাজধানীর রাজপথ থেকে অলি-গলিও মোটরসাইকেলের দখলে রয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রাজধানীবাসী। গত শুক্রবার ও শনিবার রাতে গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, কাকরাইল, শাহবাগ, পল্টন, নাজিরা বাজার মোড়, বাংলামটর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওইসব এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে চালকরা দাঁড়িয়ে আছেন। সামনে দিয়ে কোনো পথচারী হেঁটে যাওয়ার সময় তারা অযাচিতভাবে জিজ্ঞাস করেন, কোথায় যাবেন? এ সময় যাত্রীদের সঙ্গে তাদের দরদাম করতে দেখা যায়। কেউ কেউ ভয় পেয়ে দ্রুত চলে যায়।

গতকাল দুপুরে একই চিত্র দেখা গেছে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ মোড়েও। এসব এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন চালক দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কোনো পথচারীকে সামনে পেলেই কোথায় যাবেন জানতে চান তারা। এ সময় কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তাদের দর কষাকষি করতে দেখা গেছে।
সরজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে আছেন চালকরা। এক পর্যায়ে তাদের কাছে যেতেই ‘কই যাবেন’ বলে ডাকা-ডাকি শুরু হয়। এ সময় পথচারীরা অনেকেই বিরক্তিবোধও করেন।

মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তি জানান, তার বাসা কারওয়ান বাজার এলাকায়। তার তার অফিস পল্টন এলাকায়। তাই কারওয়ান বাজার মোড় থেকে প্রতিদিন বাসে ওঠেন। আর অফিস শেষ করে কারওয়ান বাজার মোড়েই গিয়ে নামের। কিন্তু রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বাইক চালকরা তাকে প্রতিদিনই বিরক্তি করে থাকেন। সবাই- কই যাবেন? কই যাবেন? বলে চিৎকার করে। এটা কেমন ব্যবহার! আমার কাছে অবাক লাগে। মোটরসাইকেল তো ডাকাডাকি করার কথা না। অ্যাপের মাধ্যমে কল দিলে তবেই আমি কোথাও যেতে পারবো।

জানা গেছে, সারাদেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের ২৫ শতাংশই ঢাকায়। প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হচ্ছে গড়ে ৪১৫টি। এছাড়াও বিআরটির তথ্যমতে, সারাদেশে ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮৮টি মোটরসাইকেল রয়েছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকায় রয়েছে ৯ লাখ ১৪ হাজার ৮১৭টি মোটরসাইকেল।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারির কারণ চলাচল সীমিত থাকলেও ২০২০ সালে সারাদেশে ৩ লাখ ১১ হাজার ১৬টি মোটরসাইকেল নিবন্ধন নিয়েছেন গ্রাহকরা। ২০২১ সালে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৫২টি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন নিয়েছেন গ্রাহকরা। ২ অর্থাৎ দেশে মোটরসাইকেলের ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার ঈদের ছুটির সময় সড়কে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় ৪৮ শতাংশই মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী। এসব দুর্ঘটনার কারণ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মোটরসাইকেলচালক ছিলেন বেপরোয়া। একটি মোটরসাইকেলে চালকের বাইরে সর্বোচ্চ একজন আরোহী তোলার নিয়ম থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। চালক ও আরোহীদের বেশির ভাগেরই হেলমেট ছিল না। অনেক ক্ষেত্রে বৈধ লাইসেন্সও ছিল না চালকের।

এদিকে, গত কয়েক বছর ধরেই ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ও মৃত্যু নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠছে। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। প্রতিবারের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে মোটরসাইকেল। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, ঈদযাত্রা ও ঈদ উদযাপনের গত ১০ দিনে সারাদেশে ৯৭ জন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫১ জনই ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক। অর্থাৎ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭ শতাংশের বয়স ছিল ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

এছাড়া গত এপ্রিল মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪২৭টি। এ সব দুর্ঘটনায় নিহত ৫৪৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৬১২ জন। ১৮৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২০৬ জন, যা মোট নিহতের ৩৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১৬ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৮৭ জন, অর্থাৎ ১৬ শতাংশ।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, মোটরাইকেলে বাড়ি যাওয়ার সংখ্যা এবার বেড়েছে। ১৫-২০ লাখ মানুষ এবার মোটরসাইকেলে করে বাড়ি গেছেন। যে যেভাবে পারছে বাইক চালাচ্ছে। আর বেপরোয়াভাবে বাইক চালানোর কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

তিনি আরো বলেন, সারা বিশ্বে গণপরিবহন উন্নতি করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের চিত্র উল্টো। তাই বেশি বেশি মোটরসাইকেলে ক্রয় করছে মানুষ। এছাড়াও বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোটরসাইকেল সংস্কৃতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের যারা রাজনীতির সাথে জড়িত তারা বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালচ্ছে। তবে মোটরসাইকেল নিরুসাহীত করে গণপরিবহনকে উন্নত করলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবার ঈদে যাত্রাপথে স্বস্তি দেখা গেছে। কিন্তু দুর্ঘটনা বরাবরের মতোই রয়েছে। এবারের ঈদে বাইকে যাতায়াতের সংখ্যা বেশি। গণপরিবহনের সংখ্যা না বাড়ার কারণে মানুষে ব্যক্তিগতভাবে বাইকে করে বাড়ি ফিরেছেন। এতে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ১৫-২০ লাখ মানুষ বাইকে যাতায়াত করেছেন। ৭০-৯০ লাখ মানুষ অন্য জেলাগুলোতে চলাচল করেছেন। সব মিলিয়ে কোটির কাছাকাছি মানুষের যাতায়াত হয়েছে বাইকে। যাতায়াতের সংখ্যা বেড়েছে, বাড়ার হারও স্বাভাবিক। এই আশঙ্কায় আমরা আগেই নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছিলাম।

অপরদিকে, ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত ২ মে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১৯৭ জন হাসপাতালে আসেন, তাদের মধ্যে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ৬৫ জনের অস্ত্রোপচার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বাকি ১৩২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়। এরপর গত ৩ মে ১৭৯ জন হাসপাতালে আসেন, তাদের মধ্যে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ৮২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়। ৪ মে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ২৫২ জন হাসপাতালে আসেন, ৮৫ জনকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ১৬৭ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এরপর গত ৫ মে ২৩৬ জন হাসপাতালে আসেন, তাদের মধ্যে ১০৮ জনকে অস্ত্রোপচার শেষে হাসপাতালে ভর্তি এবং বাকি ১২৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়। ৬ মে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও ১৮৩ জন হাসপাতালে আসেন, তাদের মধ্যে ৬৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি এবং বাকি ১১৯ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। গত শনিবার নতুন করে আরও ২০৩ জন হাসপাতালে আসেন, তাদের মধ্যে ৮৯ জনকে অস্ত্রোপচার শেষে হাসপাতালে ভর্তি এবং বাকি ১১৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রায় সব জেলা থেকেই এখানে ভর্তি হচ্ছে। এই রোগীদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার। কোনো কোনো রোগীর হাত-পা কেটে ফেলার মতো অবস্থাও রয়েছে।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঈদ ও ঈদ পরবর্তী সময়ে আমাদের হাসপাতালে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে এসেছে। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক রোগীকেই ছোট-বড় অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। এছাড়া স্বাভাবিক সময়ে এখানে দিনে গড়ে ২০০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন বলে জানান তিনি।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল গণি মোল্লাহ বলেন, প্রতি ঈদেই আমাদেরকে একটা ভয়ঙ্কর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার দুর্ঘটনায় হাসপাতালে আসা রোগীর সংখ্যা বেশি।

এদিকে, কয়েক বছর ধরে দেশে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে দুর্ঘটনাও বাড়ছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০২১ সালে ২ হাজার ৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয়েছেন ২ হাজার ২১৪ জন, যা সড়ক দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর ৩৫ শতাংশ। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ এবং এই দুর্ঘটনাগুলোতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫১ শতাংশ বেড়ে যায়।

সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের গবেষণায় উঠে এসেছে, মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক ও গ্রামীণ সড়কে মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে অধিকাংশ চালক নিয়ম মানেন না। এক মোটরসাইকেলে দু’জনের বেশি না ওঠার নিয়মটিও মানা হয় না। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অনিবন্ধিত মোটরসাইকেলও অহরহ চলে। অনেকেরই মোটরসাইকেল চালানোর কোনো প্রশিক্ষণ থাকে না।

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ঢাকা শহরসহ সারাদেশে উন্নতমানের বাস সার্ভিস চালু করা এখনো সম্ভব হয়নি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উন্নতমানের বাস সার্ভিস চালু করা উচিত। তা হলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
Shahin Sarkar ৯ মে, ২০২২, ১২:৩৮ এএম says : 0
শুধু গতি বললে ভূল হবে। রাস্তাও এ জন্য দায়ী। ট্রাফিক দায়ী। জনগন দায়ী। অন্যান্য ড্রাইভার গুলোও দায়ী। বাস ট্রাকের উজ্জ্বল এল ই ডি লাইটও দায়ী। এর চাইতে দ্বিগুন গতিতেও অন্যান্য দেশে এভাবে এক্সিডেন্ট হয় না। ঠিক কিনা?
Total Reply(0)
Hashinatul Jannat ৯ মে, ২০২২, ১২:৩৮ এএম says : 0
জরুরি ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
Total Reply(0)
Khatib Alom ৯ মে, ২০২২, ১২:৪১ এএম says : 0
'গতি' একটি কারন। প্রধান কারন হলো কিশোর ও যুবকদের বেপরোয়া ড্রাইভিং এবং এক রাস্তায় অসংখ্য প্রজাতির যানবাহন। সবাই স্বাধীন স্টাইলে ড্রাইভিং করে। এ যেনো এক অদ্ভুত কায়কারবার!
Total Reply(0)
M Md Mafizul Islam ৯ মে, ২০২২, ১২:৪১ এএম says : 0
বেপরোয়া গতির কারণে এই যুবকরা অকারণে জীবন হারাচ্ছে তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই উদীয়মান যুবকরা যাতে বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাতে না পারে
Total Reply(0)
Aminul Bashar ৯ মে, ২০২২, ১২:৪১ এএম says : 0
জরিমানা হওয়া দরকার গতি সীমা অতিক্রম করলে,
Total Reply(0)
Kamal Hossain ৯ মে, ২০২২, ১২:৪২ এএম says : 0
আমি জোর দাবি জানাচ্ছি, বাংলাদেশের সকল হাইওয়ে রোড সিসি ক্যামেরার আয়ত্তে আনা হোক। তাহলে বুঝা কে দোষী কে নির্দোষ।
Total Reply(0)
Albinus Mankhin ৯ মে, ২০২২, ১২:৪২ এএম says : 0
সবকিছুই মোটামুটি ঠিকঠাক আছে এবং থাকে শুধু মাত্র বাইক ওয়ালা যদি একটু সাবধান অবলম্বন করে তবেই তারা যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা হতে এড়িয়ে চলতে পারবে।
Total Reply(0)
Md. Zulfiquer ৯ মে, ২০২২, ১২:৪২ এএম says : 0
অনিয়ন্ত্রিত যান,হাইওয়েতে পৃথক লেন থাকা জরুরী।আর রাস্তা অনুপাতে কত মটর সাইকেল চলাচলে উপযুক্ত তার গবেষণা প্রয়োজন।
Total Reply(0)
Anwer Hossain ৯ মে, ২০২২, ১২:৪২ এএম says : 0
গতির চেয়ে সমস্যা মোটরসাইকেল ড্রাইভিং অদক্ষতা ট্রাফিক আইনের বিন্দুমাত্র নিয়মাবলী এদের কাছে নেই। টাকা আছে হোন্ডা আছে।আর আইনের প্রতি শ্রদ্ধা একশ থেকে পাঁচশ টাকা হলেই সব সমস্যার সমাধান। একটি উপজেলার মধ্যে কতগুলো মোটরসাইকেল আছে এর হিসাব মনে হয় না কর্তৃপক্ষের কাছে আছে।
Total Reply(0)
Hasan Mahmud ৯ মে, ২০২২, ১২:৪৩ এএম says : 0
ঢাকার বাহিরে ছোট ছোট যেসব গাড়ি রাস্তায় চলাচল করে তাদের একজনেরও লাইসেন্স নাই। এবং তারা যানে না কিভাবে একটা হাইওয়ে রাস্তাকে ক্রোস করবে। তারা বেশিভাগই চারদিকে না তাকিয়ে সরাসরি রাস্তা ক্রোস করে। যার ফলে ঢাকা বাহিরে দূর্ঘটনা বেশি ঘটে। এমন আরো বহু কারণ আমি দেখেছি।
Total Reply(0)
ইউসুফ ৯ মে, ২০২২, ১০:২৭ এএম says : 0
মোটরসাইকেলসহ সমস্ত ড্রাইভারদের তথা সমস্ত পেশার মানুষের, যেকোনো পেশা অবলম্বনের পূর্বে অবশ্যাবশ্যই ইসলাম শিক্ষা করা তথা মানুষের মত মানুষ হওয়া জরুরী। মোটরসাইকেল লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে তাবলীগে তিন চিল্লা সময় লাগানোর নিয়ম কার্যকর করা হলে ইংশা আল্ল-হ ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। আল্ল-হ্ সর্বজ্ঞ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন