বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নোয়াখালী সদরের কারাদরাপে সেফটি টাংকি থেকে উদ্ধারকৃত মৃতদেহের পরিচয় মিলেছে, গ্রেপ্তার-১

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২২, ৬:৩৬ পিএম

সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের সেফটি টাংকি থেকে উদ্ধারকৃত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ওমর ফারুক (৩০) কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে। এ ঘটনায় হত্যাকা-ের মূল আসামি আনছারুল করিমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্যগুলো জানান নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃত আনছারুল করিম উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। সম্পর্কে আনছারুল করিমে মামা হন নিহত ওমর ফারুক।

পুলিশ সুপার জানান, নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর চাকলা গ্রামের হারুনের মেয়ে শারমিন আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে ২০১৮সালে বিয়ে হয় আনছারুল করিমের। পারিবারিক বিরোধের জেরে চলতি বছরের গত ২০এপ্রিল কাজীর মাধ্যমে তালাক প্রদান করে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এ ঘটনায় আনছারুল করিম তার স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে শারমিনের পরিবারকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তার মামা ওমর ফারুককে কৌশলে গত ৫মে শারমিনদের বাড়িতে নিয়ে আসে করিম। ওইরাতে একজন সহযোগির সহযোগিতায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে শারমিনদের সুপারি বাগানের ভিতরে গলায় শার্ট পেঁছিয়ে ফারুককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে করিম।

আসামির স্বীকারোক্তিমতে, হত্যার পর ওইরাতে ফারুকের মৃতদেহ নিজের শ্বশুরদের বাড়ির উত্তর পাশের সেফটি টাংকিতে রেখে পুনঃরায় চট্টগ্রাম পালিয়ে যায় করিম ও তার সহযোগি রাসেল। রোববার দুপুরে সেফটি টাংকি থেকে লাশ উদ্ধারের পর অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে হত্যাকা-ের মূলহোতা ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসপি আরও জানান, স্ত্রী ও শ্বশুরের পরিবারের লোকজনকে ফাঁসাতে সে এ পরিকল্পনা এবং হত্যাকা- ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন