মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেল গত রোববার ভোররাতে ঘুমিয়ে থাকা নিজ স্ত্রী ও দুই কন্যাকে হত্যার ঘটনার রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উন্মোচন করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন হত্যাকারী প্রথমে মাথার পিছনে বাড়ির ফুল বাগানে লুকিয়ে রাখা দা দিয়ে আঘাত করেন। এরপর বালিশ চাপা দেয়। সেই দা গলায় চালিয়ে তার স্ত্রী লাভলী আক্তার, মেয়ে মৃত লাজলী আক্তার ছোয়া, মেয়ে মৃত ইহা মনি কথাকে জবাই করে হত্যা করে। এই বিষয়ে তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে ঘিওর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম-বার এবং শিবালয় সার্কেল নুরজাহান লাবনীর দিক নির্দেশনায় ঘটনাস্থল হতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র (ধারালো দা) সহ রক্তমাখা জামা কাপড় উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন। তাৎক্ষনিক ঘিওর থানা পুলিশ কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেলেেক গ্রেফতার করে। মামলার ঘটনায় সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করাসহ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল হতে মামলার ঘটনায় মৃত লাভলী আক্তার মৃত লাজলী আক্তার ছোয়া ও মৃত ইহা মনি কথার ময়না তদন্তপ্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়। তদন্তে জানা যায়, আসামি আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেল নানান ধরনের ঋণে জর্জরিত ছিলেন। স্ত্রী কন্যাদের নিয়ে সংসার চালানো ও ঋণ পরিশোধের চিন্তায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটান। ঘিওর থানা পুলিশ মামলার সমস্ত তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন