বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দার পদত্যাগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২২, ১২:০২ এএম

অবশেষে পদত্যাগ করেছেন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপাকসে । গত কয়েক মাস ধরে চলা দেশটিতে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎবিভ্রাটের মধ্যে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার কারণে গতকাল সোমবার তিনি পদত্যাগ করেন। তাঁর মুখপাত্র রোহান ওয়েলিউইটা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মাহিন্দার সমর্থক ও সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৭৮ জন আহত হওয়ার পরেই এই পদত্যাগের কথা জানা যায়। এ সংঘর্ষের পরেই দেশ জুড়ে কারফিউ জারি করেছে পুলিশ।

শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো থেকে জানা যায়, মাহিন্দা রাজাপাকসের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। বৈঠকে দেশের বিক্ষুব্ধ রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত করতে মাহিন্দাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন তিনি। সে অনুরোধ আমলে নিয়ে ৭৬ বছর বয়সী মাহিন্দা গতকাল তাঁর পদত্যাগপত্র ছোট ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের কাছে জমা দেন। রোহান বলেন, নতুন জোট সরকার গঠনের পথ তৈরি করতে তিনি পদত্যাগ করেছেন।

শ্রীলংকায় এখন যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে দেশটির স্বাধীনতা পাবার পরবর্তীকালের সবচেয়ে গুরুতর সংকট। করোনা মহামারি, উচ্চবিলাসী ও অলাভজনক বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারের বিনিয়োগ, ত্রুটিপূর্ণ করনীতি ও সরকারি অব্যবস্থাপনার কারণে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যাপকভাবে কমে যায়। এর ফলে অনেকদিন ধরে জ্বালানি তেল, খাদ্য, ঔষধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি করতে পারছে না দেশটি। পাশপাশি দ্রুত বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে শুরু হয় ভয়াবহ আর্থিক ও মানবিক সংকট।

এই অবস্থা চলতে থাকায় এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে শ্রীলঙ্কার জনগণ। গত মার্চ থেকে শ্রীলঙ্কার ছোট-বড় সব শহরে শুরু হয় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। জনগণের দাবি আংশিক মেনে নিয়ে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে একসঙ্গে পদত্যাগ করেন মন্ত্রীপরিষদের সব সদস্য। নিজেদের পদ ধরে থাকেন কেবল প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। কিন্তু তাতে কমছিল না বিক্ষোভ। এদিকে, আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতাসংস্থা শ্রীলঙ্কা সরকারকে শর্ত দিয়েছে- দেশের পরিস্থিতি শান্ত না হলে আর্থিক সহায়তা মিলবে না। বিবিসি বাংলা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Yousman Ali ১০ মে, ২০২২, ৩:৪৫ এএম says : 0
ঘরের আগুন নিভানো বড় দায় শিলংকা এখন ছায়
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন