ইলন মাস্কের আমলে টুইটার জঘন্য হয়ে যেতে পারে। এই আশঙ্কায় মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণ রুখে দিতে নাকি আসরে নেমে পড়েছেন বিল গেটস। এমনটাই দাবি একাধিক ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের। বলা হচ্ছে, মাস্ক যেভাবে টুইটারকে ‘বাক স্বাধীনতার মুক্তাঞ্চল’ হিসাবে গড়ে তুলতে চাইছেন, তাতে নাকি আপত্তি রয়েছে গেটসের। সেকারণেই তিনি টুইটারের অধিগ্রহণ রুখে দিতে চান।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, মাস্কের টুইটার কেনা রুখতে নাকি অন্য ধনকুবেরদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন গেটস। তার সঙ্গে নাকি রয়েছেন ধনকুবের জর্জ সোরস, বিল ক্লিনটনরা। গেটসের পাশে নাকি রয়েছেন বারাক ওবামা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও। সদ্যই বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থাকে চিঠি লিখে মাস্কের আমলে টুইটারে বিজ্ঞাপন না দিতে অনুরোধ করেছে ২৬টি প্রথম সারির এনজিও এবং অতি বাম সংগঠন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে তারা সতর্ক করেছে। এই এনজিও গুলির বক্তব্য, মাস্কের আমলে টুইটারে প্রচুর ভুয়ো খবর ছড়াবে। তাই কোনও নামী সংস্থারই এই ভুয়ো খবরে অংশীদার হওয়া উচিত নয়। শোনা যাচ্ছে, এনজিও গুলির এই চিঠির নেপথ্যেও নাকি বিল গেটসের হাত আছে।
আসলে গেটসের উদ্বেগের জায়গাও ও বিদ্বেষ এবং ভুয়ো খবর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মাস্কের আমলে টুইটার আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। গেটসের প্রশ্ন, “মাস্ক কতটা স্বাধীনতা দিতে চান টুইটারে? যদি কেউ করোনার ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে প্রচার করে তাহলে তিনি কী করবেন? কিংবা যদি কেউ বলে বিল গেটস মানুষ মেরে ফেলে? তাহলে কী সেসব খবর ছড়াতে দেওয়া উচিত? মাস্ক কী করতে চান সেটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়।” গেটসের এই সাক্ষাৎকারের পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, যে তিনি মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের বিরোধী।
প্রসঙ্গত, আমেরিকান ধনকুবের মাস্ক বাংলাদেশী মুদ্রায় সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকারও বেশি দরে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মটির মালিক হয়ে গিয়েছেন। আগামী মাস ছ’য়েকের মধ্যেই এই চুক্তি সম্পূর্ণ হবে। মাস্ক জানিয়েছেন, তার অধীনে টুইটার বাক স্বাধীনতার মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠবে। কেউ কিছু লিখতে বাধা পাবে না। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন