শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চীনকে ঠেকাতে বাড়ছে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসছেন বাংলাদেশে

প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ২:১২ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০১৬

দি টাইমস অব ইন্ডিয়া : চীন বাংলাদেশে তার কৌশলগত উপস্থিতি বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার প্রেক্ষাপটে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে বড় রকমের উন্নয়ন ঘটাতে ভারত এ মাসের শেষে তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকারকে ঢাকা পাঠাচ্ছে।
সরকারী সূত্রগুলো মঙ্গলবার জানায় যে, পারিকার দু’দিনের সফরে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশে যাচ্ছেন। তার এ সফরকালে একটি নতুন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে যার মধ্যে থাকবে সন্ত্রাস দমনে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতাসহ সামরিক সরবরাহ বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর, প্রশিক্ষণ ও যৌথ মহড়া।
একটি সূত্র জানান, ডিসেম্বরে শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ বিষয়টি সম্পৃক্ত করা হতে পারে। উল্লেখ্য, পারিকার হবেন বাংলাদেশ সফরকারী প্রথম ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
সোমবার বাংলাদেশ চীন থেকে তার প্রথম দু’টি সাবমেরিন সরবরাহ নেয়ার পরপরই এ সফরের কথা জানা গেল। চীনের ডালিয়ান সমুদ্র বন্দরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদের কাছে এ দু’টি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনাকে ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে ব্যাপক সামরিক সহযোগিতা গড়ে ওঠার এক বড় ইঙ্গিত হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
মধ্য অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকা সফর করেন। ৩০ বছরের মধ্যে কোনো চীনা প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। এ সময় চীনের সাথে ২৫ বিলিয়ন ডলারের ২৭টি চুক্তি হয়। চীনের অর্থনৈতিক পেশী বা তার নিজ প্রতিরক্ষা শিল্পের সাথে পাল্লা দেয়ার পর্যায়ে ভারত পৌঁছেনি।
কিন্তু ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলো শ্রীলংকা থেকে শুরু করে মালদ্বীপ, সিচেলিস ও মরিশাস থেকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও নেপালে চীনের প্রভাব বিস্তার ঠেকানোর চেষ্টা করছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শ্রীলংকাকে ভারত বিমান প্রতিরক্ষা কামান, রাডার ও মাইন-প্রতিরোধক যান সরবরাহ ছাড়াও বর্তমানে দেশটির নৌবাহিনীর জন্য দু’টি অফশোর টহল জাহাজ (ওপিভি) নির্মাণ করছে।
সূত্র জানান, অনুরূপভাবে ভারত উদ্ভাবনী আর্থিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ওপিভি সরবরাহ করতে পারে। সার্বিক সামর্থ্য-বৃদ্ধির আওতায় ভারতের সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাংলাদেশী সৈন্যদের প্রশিক্ষণও বাড়ানো হবে।
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সামরিক মহড়া সম্প্রীতির ষষ্ঠ পর্যায় বর্তমানে টাঙ্গাইলে চলছে। সন্ত্রাস দমনের উপর গুরুত্ব প্রদান করে এই মহড়া দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে আন্তক্রিয়া জোরদার করবে। নিয়মিত নৌ ও বিমান মহড়াও এখন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে সূত্রটি জানান।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিশ্চিতভাবে আরো একবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। দু’দেশই তাদের ভূখ-ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পরস্পরকে সমর্থন করেছে। সে সাথে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ বৈঠক বর্জনে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন দিয়েছে ঢাকা।
ভারত এ বছরের গোড়ার দিকে কক্সবাজারে সোনাদিয়া সমুদ্র বন্দর নির্মাণের চীনা উদ্যোগ বাতিল করে বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপে স্বস্তি বোধ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে চীনের আরো কয়েকটি প্রকল্প চলমান। বাংলাদেশ চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ উদ্যোগও সমর্থন করে।
অপর পক্ষে ভারত গত তিন-চার বছর ধরে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। তাদের প্রধান একটি লক্ষ্য ছিল দু’দেশ একসঙ্গে দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করা।
ভারত ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের সাথে সরাসরি আর্মি-টু-আর্মি স্টাফ আলোচনা অনুষ্ঠিত করে আসছে। এই আলোচনার গুরুত্ব উপলব্ধি করা যেতে পারে এ থেকে যে মাত্র মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশের সাথেই ভারতের এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ দেশগুলো হল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইসরাইল, ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
apu ১৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১:৪১ এএম says : 0
????????? ???? ??????????? ???
Total Reply(0)
Nannu chowhan ১৭ নভেম্বর, ২০১৬, ৭:৩৯ এএম says : 0
It will be big mistake to be distance from china milleterily or economical or economically,it has proven india never give same as Bangladesh,they only get lion share they give us to little only.it has proven they are not our true friend.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন