শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মেট্রোরেলের সুড়ঙ্গ : কলকাতায় এবার ১০টি বাড়িতে ফাটল

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২২, ৩:০৩ পিএম

ভারতের কলকাতার বৌবাজারে মেট্রোরেলের সুড়ঙ্গের কাজের জেরে এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে ফের ফাটল ধরেছে। এ ঘটনায় মাঝরাতে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে পড়েন বাসিন্দারা। ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, গোটা বৌবাজার দুর্গা পিতুরি লেনটি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বিপজ্জনক বাড়ি ছাড়তে অনিচ্ছুক বাসিন্দাদের বাইরে বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব বাড়ির বাসিন্দারা জরুরি জিনিসপত্র নিয়ে হোটেল বা অন্য কোথাও আশ্রয় নেন।
এমন বাস্তবতায় ভারতের মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে; ভয়ের কিছু নেই। বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের আট থেকে ১০টি বাড়িতে বুধবার হঠাৎ ফাটল নজরে পড়ে।
এর আগে ২০১৯ সালে মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোঁড়া যন্ত্রের ভুলে এই পিতুরি লেনের কয়েকটি বাড়ির অংশ ধসে গিয়েছিল। ২০২০ সালেও ফাটল সমস্যায় পড়েন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, গোটা বৌবাজার দুর্গা পিতুরি লেনটি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বিপজ্জনক বাড়ি ছাড়তে অনিচ্ছুক বাসিন্দাদের বাইরে বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে সুড়ঙ্গের কাজ বন্ধ করে দিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের হোটেলে রাখার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। মেট্রোরেল কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে ও বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যান।
বৌবাজার দিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সুড়ঙ্গ তৈরির সময় বাড়িতে ফাটল ধরায় ২০১৯ ও ২০২০ সালে বিপজ্জনক বাড়ি ছেড়ে যান অনেক বাসিন্দা, কিন্তু তারা এখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজনের।
বারবার এই ঘটনায় নিজেদের বাড়ি ছেড়ে যেতে নারাজ অনেক বাসিন্দা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সামনে বিক্ষোভও দেখান ক্ষতিগ্রস্তরা।
পিতুরি লেনের এক বাসিন্দা বলেন, ‘প্রাণভয়ে আমরা রাস্তায় নেমে এসেছি। কার ভরসায়, কোথায় যাব, জানি না। ‘আগে যারা বাড়ি ছেড়ে গেছেন, তারা এখনও নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারেননি।’
অন্য এক বাসিন্দা বলেন, ‘মাঝরাতে এক ঘণ্টার নোটিশে ঘর ছাড়তে হয়েছে। তাহলে কী অবস্থা হয় ভাবুন। বয়স্ক মানুষ, বাচ্চারা রয়েছে, মেট্রোরেল একবারও ভাবল না ওরা কী খাবে।’
নির্মাণ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম বিশ্বাস এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, ‘যদি ঘণ্টায় এই ফাটলগুলো বেড়ে যেতে থাকে, তাহলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এই ফাটল ধরা বাড়ির বাসিন্দাদের অন্তত ৭২ ঘণ্টা বাড়ি ছেড়ে নিরাপদে থাকা উচিত।’
কলকাতা মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার এনসি কারমালি বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভয়ের কিছু নেই। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৫টি পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।’ সূত্র : আনন্দবাজার

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন