শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

নাকের ফাংগাল ইনফেকশন

| প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

নাকের ফাংগাল ইনফেকশনকে রাইনোস্পোরিডিওসিস বলা হয়। এই ইনফেকশন নাক ছাড়াও দেহের অন্যান্য অংগেও হতে পারে।

কিভাবে ছড়ায়?
ফাংগাল স্পোর গরু-ছাগল, ঘোড়ার মল দ্বারা পুকুরের পানি ও বাতাসে ছড়ায়। এই স্পোর সংক্রমিত পানিতে গোসল করলে বা সংক্রমিত বাতাসে শ্বাস গ্রহণ করার মাধ্যমে তা মানুষের দেহে প্রবেশ করে। নাকে কোন ক্ষত দিয়ে জীবাণু ছড়াতে থাকে। এই স্পোর নাকের সাব মিউকোসাতে বংশবৃদ্ধি করে স্পোরানজিয়া গঠন করে। এই স্পোর জার্মিনাল স্পোর এর মধ্য দিয়ে ভেঙ্গে যায় এবং টিস্যুতে নিঃসরিত হয় এবং টিস্যুতে রিএকটিভ হাইপারপ্লাসিয়া হয় এবং পলিপের মত বা টিউমারের মত দেখতে অনেকটা স্ট্রবেরি ফলের মত দেখায়।

কাদের এবং কোথায় বেশী হয়?
নাকের ছত্রাক জনিত রোগ পুরুষদের বেশী হয়। সাধারণত ১১-৪০ বছর বয়সে বেশী হয়। তবে যে কোন বয়সে এবং মহিলারাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগ ভারতীয় উপমহাদেশে যেমন- বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল, দক্ষিণ আমেরিকা, ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বেশী হয়ে থাকে।

রোগের লক্ষণ সমূহ ঃ ১. নাক বন্ধ হওয়া। ২. নাক দিয়ে রক্ত পড়া। ৩. নাকে চুলকানি হওয়া। ৪. নাকে টিউমারের মত বা পলিপের মত কিছু (স্ট্রবেরী ফলের মত) দেখা যেতে পারে।

রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি ঃ বায়োপসি এবং হিস্টোপ্যাথলজি করে রোগ নিশ্চিত করা যায়।

চিকিৎসা ঃ পলিপয়েড মাস এবং আশে পাশের আক্রান্ত জায়গায় সম্পূর্ণ এবং বিস্তৃত ভাবে অপারেশন করতে হবে। কেটে ফেলা স্থানটি কটারাইজেশন করতে হবে। এত করে রক্তপাত কম হবে এবং পুণরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

অধ্যাপক ডাঃ এম আলমগীর চৌধুরী
নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন
ই-মেইলঃ alamgir.chowdhury07@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন