রাশিয়ার অবরোধের ফলে কঠোর অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে ইউক্রেন। যদিও কিয়েভ সরকার সরাসরি স্বীকার করছে না, তবে বিশ্বব্যাংক মনে করে, ২০২২ সালে ইউক্রেনের জিডিপি সম্ভবত ৪৫ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, শুল্ক রাজস্ব, সরকারের ট্যাক্স নেয়ার একটি বড় অংশ, কম আমদানির কারণে থমকে গেছে। সামরিক বেতন একটি বোঝা, অর্থায়নের ফাঁক মেটাতে ইউক্রেন বিদেশী সাহায্যের জন্য লবিং করেছেন। কিন্তু তারা বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ঘাটতির বিপরীতে ইউক্রেনের জন্য মাত্র ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। ফলে রাশিয়া অবরোধ না তুললে, এ সঙ্কট মোকাবেলা তাদের পক্ষে খুব কঠিন হবে।
ইউক্রেনে সঙ্কটের কারণে গোটা বিশ্বে শস্য, রান্নার তেল, জ্বালানি ও সারের দাম অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে গেছে৷ বিশেষ করে আফ্রিকায় খাদ্য সংকট আরও গভীর হতে পারে বলে জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে৷ ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কারণে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে শস্য ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানি কার্যত থমকে গেছে৷
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, শুধু ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরেই প্রায় আড়াই কোটি টন শস্য আটকে রয়েছে৷ তার মতে, গোটা বিশ্বে বিশেষ করে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের লাখ লাখ মানুষের জন্য সেই শস্য সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি৷ তবে ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী সেরহি মার্চেনকো পরিস্থিতি নিয়ে খব বিচলিত নন। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই কঠিন, তবে আমরা এটি পরিচালনা করতে পারি।’ সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন