বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইউক্রেন যুদ্ধের উদ্দেশ্য নিয়ে পশ্চিমারা বিভক্ত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০২২, ৭:২৩ পিএম

ইউক্রেনের রাশিয়া তাদের লক্ষ্য হাসিল করলেও ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে উস্কে দিয়ে যুদ্ধ বাধাতে পেরেছে ঠিকই, কিন্তু রাশিয়াকে চিরকালের মতো দূর্বল করে দেয়ার চক্রান্তে সফল হতে পারেনি। বরং রাশিয়া সমৃদ্ধ ডনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র তার পশ্চিমা মিত্রদের নিয়ে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিলেও তাতে খুব একটা সফলতা আসেনি। এর মূল কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো জোটে মতপার্থক্য। বর্তমানে ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে স্পষ্টতই দুটি ভাগ দেখা দিয়েছে। এক দিকে আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তাদের মুখাপেক্ষী ফিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়ার মতো কিছু দেশ। অপরদিকে রয়েছে ইউরোপকে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে নেতৃত্ব দেয়া জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির মতো শক্তিশালী দেশ।

এই সপ্তাহে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ এবং ইতালীয় প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি রাশিয়ার বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগের বদলে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির উপরে জোর দিয়েছেন। ওয়াশিংটনে বক্তৃতায় দ্রাঘি বলেন, পশ্চিমা নেতাদের উচিত ‘যুদ্ধবিরতি আনার এবং আবার কিছু বিশ্বাসযোগ্য আলোচনা শুরু করার সম্ভাবনার দিকে কাজ করা।’ তিনি যোগ করেছেন, ‘ইতালি এবং ইউরোপে এখন মানুষ এই গণহত্যা এবং এই সহিংসতা, এই হত্যাকাণ্ডের অবসান চায়।’

‘এটি আমাদের লক্ষ্য,’ ম্যাখোঁ একইভাবে এই সপ্তাহে শলৎসের সাথে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন। তিনি যোগ করেছেন যে, শান্তি অর্জনের একমাত্র উপায় হল ‘আলোচনার টেবিলে রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ের অংশগ্রহণ।’ ফরাসি নেতা ইউক্রেনের দাবির বিষয় উপেক্ষা করেছেন, তবে পশ্চিমা নেতারা বলেছেন যে, ‘ইউক্রেনকে যে শর্তাদি নির্ধারণ করবে সে বিষয়ে আলোচনায় সহায়তা করা উচিত।’ এবং দ্রাঘি ও শলৎজ জোর দিয়েছেন যে, ইউক্রেনীয়দের জন্য কোন আদেশমূলক শর্ত থাকতে পারে না।

কিন্তু ইউক্রেনের নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানির কারণে এ পর্যায়ে যুদ্ধবিরতি বা সমঝোতার কথা শোনার মেজাজে নেই। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস এবং প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস ইউক্রেনীয়দের প্রতিধ্বনি করেছেন এবং রাশিয়াকে ক্রিমিয়া এবং ডনবাস থেকে ঠেলে দেয়ার বিষয়ে বিস্তৃতভাবে কথা বলেছেন, অন্য কথায় ইউক্রেনকে তার ২০১৪-এর পূর্বের সীমানায় ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে।

কিন্তু দ্রাঘি, শলৎজ এবং ম্যাখোঁর মন্তব্য ইউক্রেনীয়, ব্রিটিশ এবং আমেরিকানরা যা বলছে তার সাথে সংঘাতমূলক বলে মনে হচ্ছে। যদিও পশ্চিম ইউরোপীয় নেতারা যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তি ঘটুক এবং সবকিছু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক’ বলে চাচ্ছেন কিন্তু কিয়েভ, লন্ডন এবং ওয়াশিংটনের নেতারা যা দাবি করছেন তাতে আরও দীর্ঘ সংঘর্ষ এবং বৃহত্তর পশ্চিমা সম্পৃক্ততার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে ক্রেমলিনের কোনো কৌশল ছাড়াই, যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে যুদ্ধের লক্ষ্য নিয়ে বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। সূত্র: পলিটিকো।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
md Torikul Islam Morol ১৪ মে, ২০২২, ৮:১৮ পিএম says : 0
রাশিয়া ও ইউক্রেনে মধ্যে যুদ্ধ বাদায় দেবার জন্য আমেরিকার ও ইংল্যান্ড ১০০% দায়ী এর কোন ভুল নেই আর ইউক্রেনের পশ্চিমা পুতুল প্রেসিডেন্ট দায়ী, তারা ক্ষমতা লোভে সাধারণ জণগণ কথা ভাবে না,কিন্তু আমি যুদ্ধ পছন্দ করি না বা কেউ করে না, রাশিয়ার কথা চিন্তা করলে বুঝা যায় যে রাশিয়া সঠিক আছে, সুজাসাপ্তাই বলছি আপনি আমার শত্রু কে ডেকে নিয়ে জামাই আদর করবেন আর আমার ক্ষতি সুযোগ খুজবেন, আর সেটা কি আমি বসে বসে দেখবো আর আঙুল চুচপো তা অসম্ভব রাশিয়াই সঠিক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন