শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কুশিক নির্বাচনে তিন প্রতিদ্বন্দ্বী রিফাত সাক্কু, কায়সার

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেছেন, আমরা সবাই জাতির জনকের আদর্শের সৈনিক। জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী এবং আ.লীগ পরিবারের লোক। কুমিল্লার এমপি আকম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশনায় কুমিল্লা সিটিতে নৌকার জয়ের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে হয়ে কাজ করবেন বলে আমি প্রত্যাশা করছি। গত শুক্রবার দলীয় মনোনয়ন পাবার পর রাতে গণমাধ্যমের কাছে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন কুমিল্লা মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় প্রার্থী রিফাত। এবারে আওয়ামী লীগের তৃণমুলের প্রতি দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে আরফানুল হক রিফাতের মনোনয়নকে।

অন্যদিকে সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লা বিএনপিতে দ্বন্দ্ব, কোন্দলের বিষয়টি আবারও দলের নেতা কর্মী ও ভোটারদের মাঝে স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। গত সিটি নির্বাচনে কুমিল্লা জেলা বিএনপির দুই গ্রুপ হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ও মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে যে বিভেদ দ্বন্ধ ছিল তা ধানের শীষ প্রতীকের স্বার্থে মিটমাট হয়ে গেলেও সাক্কু দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর হাজী ইয়াছিন গ্রুপকে কোনঠাসা করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
২০১৭ সালের ৩০ মার্চ বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তিনি দলীয় কার্যক্রমে একেবারেই অনুপস্থিত ছিলেন। উল্টো সরকারি দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি সামনে আসে। দলের ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কেও একটি অনলাইন পোর্টালে সাক্ষাৎকার দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন সাক্কু। গত বছরের অক্টোবরে কেন্দ্রীয় বিএনপির এক সভায় অনুপস্থিত থাকায় মনিরুল হক সাক্কুকে কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। তবে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ রয়েছে তার। এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না বলে দলের শীর্ষ নেতাদের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এ অবস্থায় মনিরুল হক সাক্কু স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

এবিষয়ে একটি গণমাধ্যমকে মনিরুল হক সাক্কু জানান, কুমিল্লা নগরের উন্নয়ন কাজের জন্য এমপি বাহাউদ্দিন বাহারের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। এর বাইরে আর কিছু নয়। তিনি নির্বাচনের জন্য মাঠ গুছিয়ে রেখেছেন। আর মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন।

এদিকে মনিরুল হক সাক্কুকে ঠেকাতে এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দীন কায়সার। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের শ্যালক।
কায়সারের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি বেশ জোরালোভাবে দেখছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, সাক্কুর কাছে দলের নীতি আদর্শ উপেক্ষিত। তাই এবার দল নির্বাচনে না এলেও দলের লোকের পরিবর্তন চায় তৃণমুল নেতাকর্মীরা। এদিকে জেলার রাজনৈতক বিশ্লেষকদের মতে তরুণ নেতৃত্ব নিজাম উদ্দিন কায়সার যদি প্রার্থী হয় তাহলে এটা বিএনপির বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর জন্য গলারকাঁটা হয়ে দাঁড়াবে। কেননা কুমিল্লায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের একটি বড় অংশ কায়সারের প্রতি আস্থাশীল।

প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নিজাম উদ্দীন কায়সার বলেন, আমি মনিরুল হক সাক্কুকে ঠেকাতে প্রার্থী হচ্ছি না। জয়ের জন্য নির্বাচন করবো। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারের একটি বড় অংশ আমাকে ভোট দেবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন