শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারা বিপদসীমায় : ৫টি উপজেলা বিপর্যস্ত

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২২, ১:৩২ পিএম | আপডেট : ১:৩৩ পিএম, ১৫ মে, ২০২২

ভরাটে ইতিমধ্যে নাব্যতা হারিয়েছে সুরমা-কুশিয়ারা। এতে বৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢলে পানি ধারনের ক্ষমতাও নেই সিলেটের এই প্রধান এ নদী দুটির। সেকারনে অব্যাহতি বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের নদ-নদীগুলোর পেট পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ। প্রধান দুই নদী- সুরমা ও কুশিয়ারা এখন বিপজ্জনক অবস্থানে। এসব নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর ডাইক ভেঙ্গে কোথ্ওা উপচে পড়ে সিলেটের নিম্নাঞ্চল ইতিমধ্যেই তলিয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। তলিয়ে গেছে ফসলি জমিও। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) আজ রোববার সকালে নদীগুলোর পানিসীমার সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছে।
পাউবোর তথ্যা বলছে, আজ রোববার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১.২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে গতকালের চেয়ে আজ বেড়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট পয়েন্টে পানি ছিল ১০.৫১ সেন্টিমিটার। আজ সকালে পানিসীমা দাঁড়িয়েছে ১০.৬২ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে আজ সকালে বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে বেড়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ পয়েন্টে পানিসীমা ছিল ৬.৭০ সেন্টিমিটার, আজ সকাল ৯টায় পানিসীমা হয় ৭.৭৩ সেন্টিমিটার। পানি বেড়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও। এখানে গতকাল সন্ধ্যায় পানিসীমা ছিল ৮.০৯ সেন্টিমিটার; আজ সকালে পানিসীমা দাঁড়ায় ৮.৫০ সেন্টিমিটার। এদিকে, গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ০.৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবৃদ্ধির কারণে সিলেটের জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলোর বেহাল অবস্থা। বিভিন্ন জায়গায় উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের প্রধান সড়কগুলো এখন পানির নিচে। শত শত ফসলি জমি ডুবে আছে। সিলেটের পাঁচ উপজেলায় ৭৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে বন্যার্ত মানুষকে জেলা প্রশাসন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন