একসময় ঢাকার পাশের জেলা মুন্সিগঞ্জে ৯টি সিনেমা হল ছিল। একে একে বন্ধ হয়ে এখন রয়েছে মাত্র ১টি। দর্শক আকর্ষণ করার মতো সিনেমা না হওয়ায় লোকসান গুণতে গুণতে হলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। মুন্সিগঞ্জ শহরে ছবিঘর ও দর্পণা, মুক্তারপুরের পান্না সিনেমা হল, কমলাঘাটের মিনার্ভা ও আয়না, ধলাগাঁও বাজারের আঁখি, টঙ্গিবাড়ী উপজেলা সদরের পপি, বেতকা বাজারের স্বপ্নছায়া ও আলদী বাজারের শীতল হলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ছবিঘর ভেঙে হয়েছে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন, মিনার্ভা আবাসিক অঞ্চল, দর্পণা ও আয়না সিনেমা হল কমিউনিটি সেন্টারে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে মুক্তারপুরের একমাত্র পান্না সিনেমা হল চালু রয়েছে। ঈদে এখানে মুক্তি পেয়েছে বিদ্রোহী সিনেমাটি। তবে দর্শক না হওয়ায় এবং লোকসানের কারণে এ হলটিও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। হল মালিক বিকল্প ব্যবসার কথা ভাবছেন। হলটির মালিক আজগর হোসেন বলেন, বছরে দুটি ঈদ আর নতুন সিনেমার ক্ষেত্রে শুধু শুক্রবার দর্শকের সমাগম হয়। বছরের বাকি সময় দর্শক শূন্য থাকে সিনেমা হল। সিনেমা চালিয়ে লোকসান গুণতে হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটি বাজারের চায়ের দোকানে ক্যাবল টিভির মাধ্যমে বিভিন্ন সিনেমা দেখানো হয়। যার ফলে মানুষ এখন হলে আসতে চায় না। বন্ধ হয়ে যাওয়া দর্পণা সিনেমা হলের তৎকালীন ম্যানেজার মো. মনির হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, আশির দশকে রাত ১২টার নাইট শো শেষ হওয়ার পরেও দর্শকদের অনুরোধে সিনেমা চালাতে হতো। টিকিট দিয়ে শেষ করতে পারতাম না। আর এখন ভালো সিনেমাও আসে না দর্শকও আসে না। পঁচিশ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটা সিনেমা এনে এক সপ্তাহ চালালে অর্ধেক টাকাও উঠাতে পারি না। লাভ দূরের কথা স্টাফদের বেতনই দিতে পারি না। এভাবে দিনের পর দিন লোকসান গেছে। তাই হল বন্ধ করে দিয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন