সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো ইনিংস উপহার দিলেন রুমানা আহমেদ। পরে তিনি জ্বলে উঠলেন বল হাতেও। কিন্তু তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দলের জন্য যথেষ্ট হলো না। দুবাইয়ে ‘ফেয়ারব্রেক’ নামের আমন্ত্রণমূলক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বার্মি আর্মির হয়ে ১৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার রুমানা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটি গড়া ৪টি চার ও ২টি ছক্কায়।
গতপরশু রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান করে বার্মি আর্মি। টর্নেডোস সেটি পেরিয়ে যায় ৪ উইকেট ও ২ বল হাতে রেখে। লেগ স্পিনে ৪ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন রুমানা। দল হারলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই।
রুমানা ব্যাটিংয়ে নামেন ষোড়শ ওভারে, দলের রান তখন ৫ উইকেটে ৮৬। প্রথম ৮ বলে তার রান ছিল ১০। এরপর বাড়ান রানের গতি। পাকিস্তানের পেসার দিয়ানা বাইগের টানা চার বলে মারেন তিনটি চার ও একটি ছক্কা। ইনিংসের শেষ বলে তিনি আরেকটি ছক্কা হাঁকান দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার সুনে লুসকে।
প্রতিপক্ষের রান তাড়ায় সপ্তম ওভারে প্রথমবার বল হাতে পেয়ে রুমানা দেন ৬ রান, পরের ওভারে ৮। ১৫তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে ৪ রান দিয়ে তিনি নেন একটি উইকেট। ৩৪ রান করে ক্যাচ তুলে দেন স্টেরে ক্যালিস। শেষ ১২ বলে টর্নেডোসের দরকার ছিল ৯ রান। ১৯তম ওভারে দারুণ বোলিংয়ে ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে রুমানা জমিয়ে তোলেন লড়াই। তবে শেষ ওভারে ৪ রান আর ডিফেন্ড করতে পারেনি তারা।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের আরেক প্রতিনিধি জাহানারা আলমের দল ফ্যালকন্স অবশ্য উঠে গেছে ফাইনালে। একই দিন প্রথম সেমি-ফাইনালে তারা স্পিরিটকে হারায় ২৫ রানে। জাহানারা ২ ওভারে ২৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।
৬ দলের এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন মোট ৩০টি দেশের নারী ক্রিকেটাররা। আসরে ৬ ম্যাচে ব্যাট হাতে ৬২ রানের পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে ৭ উইকেট নেন রুমানা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন