শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

স্বামীর দেয়া বিষে মৃত্যু হলো সিলেটে এক নববধূও !

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২২, ৬:১৬ পিএম

পুরোপুরি মুছে যায়নি হাতের মেহেদির রঙ। দিনে দিনে মাসে গড়িয়েছিল বিয়ে। এরই মাঝে প্রিয়তম স্বামীর দেয়া ‘বিষ’ খেয়ে লাশ হতে হলো নববধূ লনিকে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় সোমবার (১৬ মে) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নববধূ লনি বেগম (২৪)। সিলেট এয়ারপোর্ট থানার সাহেবের বাজার এলাকার বাজারতল গ্রামের মৃত আতাব খানের পূত্র।

ময়না তদন্ত শেষে আজ বিকাল ৪ টার দিকে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। স্বামীর মারধর ও বিষ খাওয়ানোর ফলে লনির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নববধূ লনির অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন (৪২) সিলেট এয়ারপোর্ট থানার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মহালদিক গ্রামের মৃত টিকই মিয়ার পূত্র। গত শুক্রবার রাতে জামালকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। পরদিন তাকে জেলহাজতে পাঠান আদালত। বর্তমানে জামাল জেলেই আছেন। লনির ভাই অ্যাডভোকেট ইমাম উদ্দিন খান বলেন, সদ্য গত রমজানের আগের দিন জামাল উদ্দিনের সঙ্গে পরিবারিকভাবে লনির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় লনির বাবার বাড়ি থেকে কোনো ফার্নিচার দেওয়া হয়নি। কথা ছিলো রমজানের পর দেওয়া হবে। কিন্তু রমজানে মধ্যবর্তী সময়ে জামাল উদ্দিন ফার্নিচার নয়, নগদ ৩ লক্ষ টাকা বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য লনিকে চাপ দিতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে একটু মনোমালিন্য হয়। ঈদের পরপরই বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে যেতে গত ২৭ রমজান রাতে ফের চাপ দিতে থাকেন জামাল। এতে লনি অসম্মতি জানালে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। এক পর্যায়ে লনি গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে ওষুধ খাওয়ানোর কথা বলে বিষ খাইয়ে দেন স্বামী জামাল উদ্দিন। সেই থেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন নববধূ লনি। বিষয়টি ঈদের দিন জানতে পারেন তার বাবার বাড়ির লোকজন। ওইদিনই লনিকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা। পরবর্তীতে শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে এবং লনিকে আইসিইউতে নেওয়া হয় এবং পরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। লাইফ সাপোর্টে দুইদিন থাকার পর আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করের লনি। এদিকে, লনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে এয়ারপোর্ট থানায় তার বড় ভাই নিজাম উদ্নি খান বাদি হয়ে জামালকে আসামি করে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই জামালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে প্রেরণ করলে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, মৃত্যুর আগে পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে লনি তার স্বামীর প্রতি মারধর ও বিষ প্রয়োগের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। তার মৃত্যুর আগেই দায়ের করা হয়েছে মামলা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন