রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বাগেরহাটে পৃথক ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

বাগেরহাটে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ ও কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. এসএম সাইফুল ইসলাম ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নুরে আলম আসামিদের উপস্থিতিতে পৃথকভাবে এই আদেশ দেন।

রামপালে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে রামপাল উপজেলার ইসলামগঞ্জ গ্রামের ইউনুচ ফকিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত। একই সাথে আদালত আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করে।
অপরদিকে চিতলামরীতে জাকিয়া নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অপরাধে কালিম শেখ নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত। একই সাথে আসামিকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। কালিম শেখ চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবি অ্যাড. আফরোজা খাতুন জানান, রামপাল উপজেলার ইসলামগঞ্জ গ্রামের ইউনুচ ফকির ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীর মায়ের ফুফাতো ভাই। ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইউনুচ ফকির বেড়াতে আসে। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরের দিন ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে রামপাল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করে।
অপর দিকে, ২০১২ সালের ১৮ মে বিকেলে জাকিয়াকে পাশ্ববর্তী কালিম শেখ তাল শ্বাস খাওয়াবে বলে বড়বাড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকার নাজির শেখের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে জাকিয়াকে না পেয়ে পরের দিন ভোরে ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে জাকিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৯ মে রাতে জাকিয়ার বাবা আব্দুল কাদের বাদী হয়ে কালিমকে আসামি করে চিতলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই একরাম হোসেন একই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। পরে মামলার দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আদালত কালিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অন্য তিনজনকে খালাস প্রদান করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন