দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও কর্মকর্তা নন, পাকিস্তানে পরবর্তী নির্বাচন কবে হবে, তা ঠিক করবেন দুর্নীতির দায়ে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। রোববার প্রকাশ্য জনসভার মঞ্চ থেকে এমনটাই ঘোষণা করেছেন নওয়াজের মেয়ে এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ভাতিজি, সেইসঙ্গে পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের সহ-সভানেত্রী মারিয়ম নওয়াজ।
পাকিস্তানে পরবর্তী ভোট কবে হবে, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা মহলে প্রশ্নে উঠতে শুরু করেছে। এমনকি, মন্ত্রিসভার এক সদস্যের দাবি, আগামী নভেম্বর মাসের আগেই পাকিস্তানের নতুন করে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে। সূত্রের দাবি, এ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এখন মারিয়মও একই কথা বলায় এ নিয়ে নতুন করে কাটাছেঁড়া শুরু করা হয়েছে।
ইমরান খানের অভিযোগ, শাহবাজ শরিফ আসলে পাকিস্তানের ‘পুতুল প্রধানমন্ত্রী’! তিনি নাকি আমেরিকার কাছে দেশ বিক্রি করে দিতেও প্রস্তুত! আর সেই কারণেই তাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসানো হয়েছে। এ দাবির কতটা ভিত্তি আছে, তা তর্কসাপেক্ষ। কিন্তু, ওয়াকিফহাল মহলও মানছে, প্রধানমন্ত্রী হলেও শাহবাজ শরিফের হাতে এ মুহূর্তে পাকিস্তানের রাজৈনতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতার ভরকেন্দ্র নেই। বরং তা রয়েছে বিদেশের মাটিতেই!
এক্ষেত্রে লন্ডনে বসবাসকারী নওয়াজ শরিফের কথাই বলা হচ্ছে। দিন কয়েক আগে শাহবাজ নিজে লন্ডন গিয়ে বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে আসেন। তার সঙ্গে মারিয়ম নওয়াজসহ অন্য প্রতিনিধিরাও ছিলেন। সূত্রের দাবি, সেই বৈঠকে পাকিস্তানের পরবর্তী নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বস্তুত, নির্বাচন কবে হবে, প্রধান আলোচ্য নাকি সেটাই ছিল! মারিয়ম নওয়াজের মন্তব্যেও এবার সেই জল্পনাই সত্যি প্রমাণ হল। অর্থাৎ, স্বদেশে না থেকেও ফের একবার পাকিস্তানের রাজনীতি ও প্রশাসনে কার্যত শীর্ষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন নওয়াজ শরিফ। সূত্র : ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন