সহিংস ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে সম্পৃক্ততার দায়ে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামি (জেএল) জম্মু ও কাশ্মীরে জাকাত এবং বাইতুল মালের জন্য সংগৃহীত তহবিলের টাকা অপব্যবহার করেছে বলে ভারতের জাতীয় তদন্ত এজেন্সি (এনআইএ) চার্জশিট প্রদান করেছে। -এএনআই, জি ফাইভ
চার জেএল সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত জাভেদ আহমেদ লোন জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নামে তহবিল চেয়ে সভা আয়োজন করেছিলেন। চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, জাভেদ ভারত-বিরোধী বক্তৃতা দিয়ে লোকদের কাছে তাদের অবস্থা অনুযায়ী অনুদান দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জাভেদ এবং চার্জশিটভুক্ত আদিল আহমেদ লোনের বিরুদ্ধে অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত উদ্দেশ্য হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়।
এনআইএ গত বৃহস্পতিবার দিল্লির একটি বিশেষ আদালতে অস্ত্র আইন, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) ধারার অধীনে ভারতীয় দণ্ডবিধির কিছু ধারায় জাভেদ ওরফে শালাবুঘি, আদিল, মঞ্জুর আহমেদ দার এবং রমিজ আহমেদ কোন্ডুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। জানা যায়, তারা সকলেই জম্মু ও কাশ্মীরের গান্ডারবাল জেলার বাসিন্দা।
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯-এ বেআইনি সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করার পরেও জম্মু ও কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য জেএল জম্মু ও কাশ্মীরের সদস্য এবং ক্যাডারদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। চার্জশিটের অভিযোগে বলা হয়, তারা দেশ এবং বিদেশ থেকে দাতব্য ও অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য অনুদান হিসেবে অর্থ সংগ্রহ করত। কিন্তু সেই অর্থ হিংসাত্মক এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে ব্যবহার করতো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন