বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দুষিত পানিতে মাছের পাশাপাশি এলাকার পরিবশেও বিপন্ন

বরিশালের জেলখালে পাঁচা রসুনে বস্তা

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২২, ৫:৪৩ পিএম

বরিশাল মহানগরীর পেঁয়াজ পট্টির কতিপয় বিবেকহীন ব্যবসায়ীর অসত কর্মকান্ডে জেল খাল ও সংলগ্ন কির্তনখোলা নদীর পানি মারাত্মকভাবে দুষিত হচ্ছে। এতেকরে খাল সহ কির্তনখোলা নদীর একটি বড় অংশের মাছের জীবন পর্যন্ত বিপন্ন। গত কিছুদিন ধরে কতিপয় অসত ব্যবসায়ী দাম বাড়ানোর আশায় ধরে রাখা গত বছরের রসুন বিক্রী করতে না পেরে অবাধে পেয়াজ পট্টি সংলগ্ন জেল খালে ফেলে দিচ্ছে।

ফলে এসব পঁচা গলা রসুনের দুষিত বাস্পে জেল খালের পানি আরো দুষিত হয়ে পড়ছে। বস্তা বস্তা রসুনের দুষিত বাস্পে এখালে আর কির্তনখোলা নদী থেকে কোন মাছ প্রবেস দুরের কথা, ভাটার সময় খালের দুষিত পানি কির্তনখোলা নদীতে প্রবাহিত হয়ে সেখানের মাছের জীবনও বিপন্ন। জেলখালে যে সামান্য মাছের বিচরন ছিল, ইতোমধ্যে সেখানেও মড়ক লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
শুধু পঁচা রসুনই নয় জেলখালের পোর্ট রোড ব্রীজের পাশের ফলের আড়তগুলো থেকে গত কয়েকদিন ধরে পঁচাগলা তরমুজ অবাধে খালে ফেলা হচ্ছে। ফলে নগরীর অন্যতম বৃহত জেলখালের দুষিত পানি ইতোমধ্যে এ নগরীর সুস্থ নাগরিক জীবনের জন্য ক্রমশ হুমকি হয়ে উঠেছে। খালটির উত্তর পাড়ের বেশ কিছু পেয়াঁজ রসুন,মরিচ ও আলুর পাইকারী আড়তের পেছনেও পঁচা রসুনের বস্তার স্তুপ রাখা হয়েছে।
মহানগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যাবস্থার অন্যতম পথ জেলখালটি গত এক দশকের বেশী সময় ধরে নুন্যতম কোন সংস্কার বা রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে ইতোমধ্যে মৃতাপ্রায়। ইতোপূর্বে একজন জেলা প্রশাসক এ খালের সংস্কারের নামে বহুবার ঘটা করে নানা অনুষ্ঠান সহ ফটো সেসনের আয়োজন করেন। এমনকি খালটি সংস্কারের অনেক মহড়া পর্যন্ত প্রত্যক্ষ্য করেছেন নগরবাসী। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। মৃতপ্রায় জেল খালটি যেভাবে ছিল এখন তার চেয়েও আরো বিপন্ন।
তবে সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জেলখাল সহ নগরীর ৭টি খালের সংস্কার করে প্রবাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি দু পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মানের সাথে নগরবাসীর চিত্ত বিনোদন ব্যাবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। দর প্রস্তাবগুলো ইতোমধ্যে মূল্যায়নের পর্যায়ে রয়েছে।
কিন্তু কতিপয় বিবেকহীন ব্যবসায়ীর অসত কর্মকান্ডে জেলখালটি বিপন্ন পরিবেশ নগরীর সুস্থ নাগরিক জীবনকে ইতোমধ্যে বিপন্ন করে তুলেছে। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্বভ হয়নি। তবে বরিশঅল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তঅর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে খোজ খবর নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন। অপরদিকে পেয়াজপট্টির একাধিক ব্যাসায়ীর সাথে কথা বলা হলেও কেউ এঘটনার বিষয়ে মুখ খোলেন নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন