বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

আড়াই লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

রূপপুরে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ১৩ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২২, ৬:২৮ পিএম

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। এর মধ্যে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা মূল এডিপি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের প্রায় ৯ হাজার ১৩০ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান নতুন এই এডিপি অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি জানান। প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

নতুন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা মূল এডিপিতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে জোগান হবে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। আর বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে বাকি ৯৩ হাজার কোটি টাকা। এবারের এডিপিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্যে বরাদ্দ ৩৫ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্যে ৩১ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগের জন্যে ২৪ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জন্যে ১৬ হাজার ১১ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জন্যে ১৫ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জন্যে ১৪ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্যে ১৪ হাজার কোটি টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্যে ১১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা, সেতু বিভাগের জন্যে ৯ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্যে ৭ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের অনুমোদিত এডিপি ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।

রূপপুর প্রকল্পে বরাদ্দ ১৩ হাজার ৩৯৫ কোটি

নতুন এডিপিতে আগামী অর্থবছরে রূপপুর প্রকল্পের জন্যে বরাদ্দ ১৩ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯ কোটি টাকা এবং গত মার্চ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৫০ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বৈদেশিক অর্থায়ন ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই এডিপির সফল বাস্তবায়ন দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা-ের প্রসার, কোভিড -১৯ মোকাবিলা, অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়ন , খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচন তথা দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন